
চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই তাইওয়ানে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। জবাবে চীনও বেশ চটেছে। সমর্থন মিলেছে রাশিয়ারও। তাইওয়ানকে অনেকগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটির চারদিকে সামরিক শো-ডাউন চালাচ্ছে চীন। এদিকে পেলোসির দাবি, তার উদ্দেশ শান্তি প্রতিষ্ঠা।
ন্যাটো আর রাশিয়ার বিবাদে পশ্চিমে ইউক্রেন হয়েছে রণাঙ্গন। এরমধ্যে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর পূর্বেও যুদ্ধের দামামা বাজার পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতির আগে আঁচ করা গেলেও, কারো কথাই কানে তুললো না মার্কিন প্রশাসন।
চীনের কড়া হুমকি-ধামকি পাত্তা না দিয়ে সফররত ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পেলোসিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় দেশটিতে। তার আগে কড়া নিরাপত্তায় তাকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হোটেলের বাইরেও চীনের পক্ষে বিক্ষোভ করেছে অনেকে।
পেলোসির তাইওয়ানে সফর নিয়ে বেইজিং আগেই হুঁশিয়ার করেছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর জেরে তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে উত্তেজনা বাড়াবে। তবে চীনকে জোরাল সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া।
প্রতিক্রিয়ায়, তাইওয়ানের চারপাশের সমুদ্র ও আকাশে সামরিক মহড়া চালাবে চীন। তাইওয়ানের আকাশসীমায় ২১ চীনা সামরিক বিমান দেখা গেছে। বেইজিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নসকে তলব করে হুঁশিয়ার করেছে। এছাড়া তাইওয়ানের বেশকিছু পণ্য আমদানিতে অবরোধ দিয়েছে চীন।
এদিকে, পেলোসির সফর ঘিরে সেখানে মার্কিন যুদ্ধজাহাজও মোতায়েনের খবরও এসেছে পশ্চিমা গণমাধ্যমে।
