
ভূমিকম্পে মরক্কোর বেশ কয়েকটি এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। জরুরি সেবা পৌঁছানো যাচ্ছে না অনেক অঞ্চলে। মানুষ রাত কাটাচ্ছে রাস্তায়। উদ্ধার কাজ চালানোর মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও নেই দেশটি। তাই সময় যত যাচ্ছে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এমনকি হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে চিকিৎসা সংকটে পড়েছেন তারা।
এযাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখেছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল অ্যাটলাস মাউন্টেন অঞ্চলের বেশ কিছু পাহাড়ি গ্রাম পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২১শ ছাড়িয়েছে। আহত প্রায় আড়াই হাজার মানুষ।
পাহাড়ি গ্রামগুলোর বেশিরভাগ মানুষ হয় হাসপাতালে, আর না হয় মৃত। তারা কেউ নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। পাহাড়ি অঞ্চলের বাড়িগুলো পুরনো ধাঁচের ইট ও পাথরের তৈরি। স্থানীয় হাসপাতাল ভবনও ভেঙে পড়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে।
পর্যাপ্ত সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধার কাজে জোর তৎপরতা চালানো যাচ্ছে না। গ্রামবাসীরা শাবল, বেলচা দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মানুষকে উদ্ধার করছে। কিছুক্ষণ পর এসব দিয়ে দিয়েই আবার কবর খুঁড়তে হচ্ছে।
কিছু কিছু জায়গায় জরুরি সেবা পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষকে। এখনও দেশটির অনেক গ্রামে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পাহাড় ও বিল্ডিং ধসে চলাচলের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
সহায় সম্বল হারিয়ে অনেকের ঠাঁই হয়েছে রাস্তায়। শত শত মানুষ সড়কে পাটি বিছিয়ে রাত কাটাচ্ছে। উদ্ধার কাজে স্পেনের ৫৬ সদস্যের একটি দল মরক্কোয় পৌঁছেছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এগিয়ে এসেছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিপর্যস্ত মানুষের আশ্রয়ে মরক্কোতে নিজের মালিকানার হোটেল খুলে দিয়েছেন পর্তুগাল সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। হোটেলের ১৭৪টি রুম এখন ব্যবহার হচ্ছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে।
