এই সেপ্টেম্বরে দশ হাজার নারী-পুরুষ-শিশু ইসলামিক স্টেট (আইএস) নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে উত্তর সিরিয়ার আল-কায়দার একটি মিত্রগ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিল।
এধরণের বেসামরিক মানুষের সঙ্গে অগণিত অভিজ্ঞ যোদ্ধা জিহাদী ইডলিব প্রদেশে পালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে তারা আল-কায়েদার মতো গ্রুপের সঙ্গে মিলে আবারও জঙ্গীবাদী তৎপরতা শুরু করছে। আইএসের ক্রমাগত পতনের ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট এবং রাশিয়া সমর্থিত সিরিয়ান সেনারা যখন আইএসকে সিরিয়ার পূর্বদিকে হটিয়ে দিচ্ছে, তখন আল-কায়েদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ লিভ্যান্ট লিবারেশন কমিটি নামের একটি বিদ্রোহী জোট ইডলিবে তাদের নিয়ন্ত্রণ শক্ত করেছে। সম্ভবত তারা ওসামা বিন লাদেনের নীতি অনুযায়ী পশ্চিমা বিশ্বে হামলা চালানোর পথ খুঁজছে।
হটে যাওয়া যেসব আইএস যোদ্ধার সঙ্গে লিভ্যান্ট লিবারেশন কমিটির পূর্বপরিচয় আছে তাদেরকে তারা যুক্ত হতে আহ্বান জানাচ্ছে আর বাকিদেরকে জেলে ঢোকানো হচ্ছে।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলের শহর মসুলসহ সিরিয়া ও ইরাকে দখলে থাকা প্রায় সব অঞ্চলই হারিয়েছে আইএস। এখন তারা রাকার নিয়ন্ত্রণও হারালো, যা ছিল তাদের ঘোষিত ‘রাজধানী’। তাদের হাজার হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছে। আবার অসংখ্য যোদ্ধা পালিয়েও গেছে। ক্রমাগত ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। তাদের ভেতরে ধর্মীয় তত্ত্বগত বিভেদও দেখা দিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতির জন্য নেতা আবু বকর আল বাগদাদীকে দায়ী করছে একটি অংশ। আইএস যোদ্ধাদেরকে আল-কায়েদায় যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সিরিয়ায় দূত পাঠিয়েছেন ওসামা বিন লাদেনের উত্তরাধিকারী আইমান আল জওয়াহিরি। ইরাকি গোয়েন্দাদের কাছ থেকে এই খবর পাওয়া গেছে।
- Advertisement -

- Advertisement -
