
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ রাজনীতিকদের হুমকি দিলো, দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান বা টিটিপি। তাদের বলছে, সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাই, শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
২০২২ সালে পাকিস্তানে অন্তত দেড়শো হামলা চালিয়েছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান বা টিটিপি। এসব হামলায় হতাহত বহু মানুষ।
গত নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে করা একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি থেকে সরে আসে টিটিপি। আফগানিস্তান তালেবানের মধ্যস্থতায় ওই চুক্তি করা হয়েছিল। চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের পর টিটিপি যোদ্ধাদের আরও বেশি হামলা চালানোর আদেশ দেন গোষ্ঠীটির নেতারা।
টিটিপি পাকিস্তানি তালেবান নামেও পরিচিত। আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবানের সঙ্গে তাদের আদর্শগত মিল রয়েছে।
এবার সশস্ত্র গোষ্ঠীটির হুমকি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ শীর্ষ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। কারণ, সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে তাদের অভিযোগ।
শাহবাজ শরিফ ছাড়াও এই রাজনীতিকদের মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও রয়েছেন। বুধবার টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানি এক বিবৃতিতে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি টিটিপি। যদি দুই দল তাদের অবস্থানে অনড় থাকে, তাহলে দলগুলোর নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই দুই দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি। যারা বর্তমান জোট সরকারের প্রধান দুটি দল। পিএমএল-এনের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। আর পিপিপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিলাওয়াল।
কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি ঘোষণা দেয়, তারা পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না। এরপরই টিটিপির কাছ থেকে হুমকির এই বার্তা এলো। টিটিপি বলছে, তাদের লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। কারণ, তারা পশ্চিমাদের ইচ্ছায় দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
