
প্রায় তিন মাস পর ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর মারিওপোল নিজেদের দখলে নিলো রাশিয়া। ইউরোপের অন্যতম বড় ইস্পাত কারখানাটিও নিজেদের করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এদিকে, পূর্বাঞ্চলের প্রজাতন্ত্র লুহানস্কের স্বাধীনতাও আসন্ন বলে দাবি করছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বাণিজ্যকেন্দ্রের শহর মারিউপোল রুশ বাহিনীর হামলায় প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইউরোপের অন্যতম বড় আজভস্তাল ইস্পাত কারখানার ভূগর্ভের সুরক্ষিত বাংকার ও টানেলের গোলাকধাঁধায় অবস্থান নেয় ইউক্রেনীয় সেনারা। তাদের সঙ্গে কয়েকশ বেসামরিকও ছিল।
রুশ বাহিনী কারখানাটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে টানা গোলা ও বোমার্বষণ শুরু করে। ভেতর থেকে যেন মাছিও বের হতে না পারে, রুশ বাহিনীকে এমন নির্দেশনা দেন প্রেসিডেন্ট ভ¬াদিমির পুতিন। কয়েক সপ্তাহ ধরে কারখানাটিতে অবস্থান নেয়া সেনারা খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকটে পড়ে।
এমন অবস্থায় ইউক্রেইন সরকার তাদের যোদ্ধাদের অবস্থান ছেড়ে দেয়ার আদেশ দেয়। এর আগে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কারখানাটিতে আটকে থাকা বেসামরিকদের সরিয়ে নেয়া হয়। এরপর অস্ত্র নামিয়ে রুশ বাহিনীর কাছে মোট ২ হাজার ৪৩৯ জন ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করে।
এদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী অধ্যুষিত স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র লুহানস্ক পূর্ণ স্বাধীন হওয়ার পথে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর এ দাবি করেন। ইউক্রেনে হামলা শুরুর আগের দিন আগে লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় মস্কো।
তাজ/ফই
