
ফিলিস্তিন জানিয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ যদি ওয়াশিংটনে অবস্থিত ফিলিস্তিনি মিশন বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনায় অটল থাকে তাহলে মার্কিনীদের সঙ্গে তারা সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ দায়েরের উদ্যোগকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ওই মিশনের অনুমতি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এক ভিডিও বার্তায় এই বক্তব্য দিয়েছেন ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের সিনিয়র আলোচক সায়েব এরিকাত।
ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন দল প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) মহাসচিব সায়েব এরিকাত ১৮ নভেম্বর এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ফিলিস্তিনি মিশন বন্ধ করে দেয়ার মার্কিন সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। ইহুদিবাদী ইসরায়েলের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে মার্কিনীরা এই হুমকি দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা ‘ফিলিস্তিনি নেতাদের সুনির্দিষ্ট কিছু বক্তব্যের’ সূত্র দিয়ে দাবি করেছেন, তারা আইসিসিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার কারণে পিএলওর মিশনের অনুমতি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের তৎকালীন প্রধান ইয়াসির আরাফাত ১৯৯৩ সালে আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংকট মিটিয়ে ফেলার মার্কিন প্রস্তাব মেনে নেন।
মার্কিন মধ্যস্থতায় ওই আপোষ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরের বছর ১৯৯৪ সালে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন পিএলও ওয়াশিংটনে একটি কূটনৈতিক মিশন খোলে। তখন থেকে মার্কিন সরকার প্রতি ছয় মাস পর পর এই মিশনের অনুমতি নবায়ন করে। ওই অনুমতি নবায়নের অনেকগুলো শর্তের একটি হচ্ছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যত বড় অপরাধই করুক না কেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক কোনও আদালতে যাওয়া যাবে না। তবে ওয়াশিংটন দাবি করছে, সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির কাছে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল।
পিএলও ইসরায়েলের সঙ্গে আপোষ প্রক্রিয়া শুরু করলেও ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো শুরু থেকেই উদ্যোগের বিপক্ষে। তারা দাবি করে, আলোচনার মাধ্যমে নয় বরং প্রতিরোধের মাধ্যমেই ফিলিস্তিনিরা তাদের পাওনা অধিকার আদায় করতে পারে।
মাহা//মাও
