
বর্তমান থেকে শুরু করে সাবেক প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্টদের ঘরে গোপন সরকারি নথি উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় মার্কিন রাজনীতি। ডোনাল্ড ট্রাম্প, জো বাইডেনের পর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বাড়িতেও গোপন নথি পাওয়া গেছে। কেন এত সরকারি তথ্য গোপন করা হচ্ছে- এ নিয়ে এখন উঠছে নানা প্রশ্ন।
প্রেসিডেন্সিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্টের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রশাসনের অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলিকে টপ সিক্রেট, সিক্রেট ও কনফিডেন্সিয়াল-এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়। কোনো প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হলে হোয়াইট হাউসের এসব রেকর্ড ও নথি জাতীয় আর্কাইভসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় রাখার কথা। যে গুলি জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। অথচ দফায় দফায় এসব নথি পাওয়া গেছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টের বাড়িতে। এ নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
গত সপ্তাহে মাইক পেন্সের ইন্ডিয়ানার বাড়িতে এক আইনজীবী গোপন নথি আবিষ্কার করেন। সেগুলো দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ট্রাম্প ও বাইডেনের পর মার্কিন সরকারের শীর্ষ পদে সেবা দেওয়া কর্মকর্তাদের বাড়িতে গোপন কাগজপত্র খুঁজে পাওয়ার সর্বশেষ ঘটনা এটি।
পেন্সের একজন সহযোগী সিবিএস নিউজকে বলেছেন, উদ্ধারকৃত নথিগুলো পেন্সের বাড়ির একটি অনিরাপদ জায়গায় বাক্সে সংরক্ষণ করা ছিল। নথিগুলো প্রথমে ভার্জিনিয়ায় পেন্সের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে ইন্ডিয়ানাতে পাঠানো হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
বাইডেনের আইনজীবীরা গত নভেম্বর থেকে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চার দফায় গোপন নথি ও সরকারি রেকর্ডের সন্ধান পান। সবশেষ বাইডেনের বাড়ি থেকে অন্তত ৬টি গোপন নথি উদ্ধার হয়। তদন্তকারীরা ইতোমধ্যে বাইডেনের নথি উদ্ধারের বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন। এছাড়া নথি অপব্যবহারের অভিযোগে ফৌজদারি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে নথি উদ্ধারের পর পেন্সকে সমর্থন করে মুখ খুলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি পেন্সকে ‘একজন নির্দোষ মানুষ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ট্রাম্পের দাবি, পেন্স তার জীবনে জেনেশুনে অসৎ কিছু করেননি।
একের পর এক গোপন নথি উদ্ধারে চরম সমালোচনার মুখে পড়ছেন প্রেসিডেন্ট, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাদের দায়িত্ব জ্ঞান ও কোনো গোপন আতাত নিয়ে কথা বলতেও ছাড়ছেন না সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে রিপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা। এমনকি নথি উদ্ধারের ঘটনায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিদায় ঘণ্টা বাজছে কিনা- সেই প্রশ্নও উঠছে।
পিন্টু হাজং/ফই
