
পশ্চিমবঙ্গের ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন’ (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ বা সিবিআই’এর তদন্তের মুখোমুখি রাজ্যটির সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সিবিআই’এর সমন পেয়ে বুধবার সন্ধ্যা পৌণে ছয়টা নাগাদ কলকাতার নিজাম প্যালেসে অবস্থিত সিবিআই’এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে হাজির হয়ে যান পার্থ।
এদিকে রাজ্যের মন্ত্রীকে যখন সিবিআই দফায় দফায় জেরা চালাচ্ছেন, ঠিক তখনই এসএসসি’এর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অধ্যাপক সিদ্ধার্থ মজুমদার। সেই জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন আইএএস কর্মকর্তা শুভ্র চক্রবর্তী। কয়েকদিন আগেই গত ১১ জানুয়ারী এসএসসি চেয়ারম্যানের পদে বসেছিলেন সিদ্ধার্থ।
তবে সাম্প্রতিককালে যেভাবে বারংবার এসএসসির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাতে অস্বস্তি ক্রমেই বেড়েছে রাজ্য সরকারের। এমন এক পরিস্থিতিতে একজন আইএএস কর্মকর্তাকে চেয়ারম্যান পদে বসালো রাজ্য সরকার।
সাম্প্রতিক কালে রাজ্যটিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সাম্প্রতিককালে বার বার মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। এসএসসির তৎকালীন উপদেষ্টা কমিটির একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধেও। প্রভাব খাটিয়ে নিজের মেয়েকে শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পরেশের বিরুদ্ধে। কিন্তু নাম উঠে আসায় হঠাৎ করেই বেপাত্তা হয়ে যান পরেশ অধিকারী।
এদিকে শিক্ষক পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি না পাওয়ায় প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই বিক্ষোভে সামিল হচ্ছে বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা। আর গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তার অভিযোগ ‘স্বাধীনতার পর রাজ্যে সবথেকে বড় দুর্নীতি। আর এই দুর্নীতির শীর্ষ ব্যক্তির নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ‘এবার কান টানলে মাথাও আসবে।’
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ মামলায় প্রায় ৫০০ কোটি রুপির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী থাকাকালীন সময়েই।
দীপক দেবনাথ,
কলকাতা
