
নিজের ভাষায় সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করতে পারা, বড় পাওয়া। একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিলো। এবার পদক পেয়েছেন ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠান।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান। স্বশরীরে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একে একে দুটি প্রতিষ্ঠান ও ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে পদক তুলে দেন সরকারপ্রধান। এবার সাতটি ক্যাটাগরির মধ্যে ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে তিনজন, সর্বাধিক শিল্পকলায় আটজন এই পুরস্কার পেয়েছেন। এদিকে, দুটি প্রতিষ্ঠান পদক পেয়েছে। শিক্ষায় জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর) পদকে ভূষিত হন। গণমাধ্যমের বিকাশ ও সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে গৌরবজনক অবদান রাখায়, তাকে এই পদক দেয়া হয়। তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহন করেন শাহ আলমগীরের কণ্যা অর্চি অনন্যা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কারণেই বহু চচড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এখন নিজের ভাষায় সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করা যাচ্ছে। অথচ, ভাষা আন্দোলননে বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করছে সরকার। ইতিহাসের শিক্ষা আর আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে নগদ চার লাখ টাকা ও ৩৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও সনদ দেয়া হয়। ১৯৭৬ সাল থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ দেয়া হচ্ছে।
