
রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত দেশের মতো সাজাতে চেয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। তার মৃত্যুতে থমকে যায় সে উদ্যোগ। আজও নগরবাসীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানযটে কাটাতে হয়। বাসের প্রতিযোগীতায় রাজপথে প্রাণ ঝরে। তবে দেরিতে হলেও সম্প্রতি ২ রুটে শুরু হয়েছে আনিসুল হকের স্বপ্নের বাস রেশনালাইজেশন প্রকল্প। বিশেষজ্ঞরাও আশাবাদি এ প্রকল্প নিয়ে।
রাজধানীর পরিবহনে অভাবনীয় পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, প্রয়াত আনিসুল হক। নিয়েছিলেন সময় উপযোগী নানা প্রকল্প।
২০১৫ সালের শেষের দিকে গণপরিবহণে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন উত্তর ঢাকার প্রথম মেয়র। সে সময় সংশ্লিষ্টরা আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে ১৬টি সুপারিশ করেন।
এসব সুপারিশ অনুযায়ী উন্নত দেশের আদলে নেয়া হয় বাস রুট র্যাশনালাইজেশন ও কোম্পানিভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থাপনা। পরিবহণ মালিকরাও সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু তার অকাল মৃত্যুতে সব এলোমেলো হয়ে যায়।
আজও পুরোপুরি ভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি। তবে সম্প্রতি ঢাকার ২টি রুটে শুরু হয়েছে নগর পরিবহন। সেখানে মোট ১০০টি বাস চলাচলের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ৫০টি বাস চলছে।
প্রতিদিন রাজধানীতে ৩শ কোম্পানির প্রায় সাড়ে ৭ হাজার বাস চলাচল করে। বেশি যাত্রী পাওয়ার আশায়এগুলো সড়কে অসুস্থ প্রতিযোগীতা করে। তাই দুর্ঘটনা ঘটে নিয়মিত। প্রতিদিন থাকে যানজট। আনিসুল হকের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এসব কমবে, মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
ছয়টি কোম্পানির অধীনে ছয় রংয়ের বাস নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন আনিসুল হক। রাজধানীর ২৯১টি রুট কমিয়ে ৪২টি রুটে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। ৩ বছরের ব্যবধানে নতুন ৩ হাজার বাস নামানোর প্রস্তাবও ছিলো। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, এসব সত্যি হলে ঢাকার যানজট ও দুর্ভোগ কমানো যেতো শতভাগ।
নগর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন গণপরিবহন উন্নত হলে ব্যক্তিগত গাড়ি নির্ভরতা কমানো সম্ভব। এর পাশাপাশি ই-টিকেটিং এর যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিলো তা দ্রুত বাস্তবায়ন করার তাগিদও দেন তারা।
