
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে দুদিন ধরে উত্তপ্ত, রাজধানীর ইডেন কলেজ। শাখা কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি, বহিষ্কৃত ১৭ নেত্রী। প্রতিবাদে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েও, সরে এসেছেন তারা। কী কারণে এমন উল্টো অবস্থান, তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
হঠাৎ করেই উত্তপ্ত ইডেন মহিলা কলেজ। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে বিপর্যস্ত ক্যাম্পাস। সভাপতি-সেক্রেটারি বনাম সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের একাংশ। ছাত্রলীগের এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে, মধ্যরাতে ঘোষণা আসে ইডেনের ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত। বহিষ্কারের আদেশ দেয়া হয় ১৭ ছাত্রলীগ নেত্রীকে।
স্তিমিত আন্দোলন ফের জেগে ওঠে সকালে। সংবাদ সম্মেলনে করে বহিষ্কৃত অংশ ঘোষণা দেয় আমরণ অনশনের। অনশন করতে তারা চলে যান, ধানমন্ডিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে। কিন্তু বের হয়ে এসে জানান, সিদ্ধান্ত বদলে গেছে। অনশনে বসছেন না। কেনো বসছেন না, তার উত্তর নেই।
সভাপতি, সম্পাদক দুজনেই ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। বহিষ্কৃতরা ইডেনের হোস্টেলেই অবস্থান করছে। কোনো সমাধান না হওয়ায়, পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে আবারো, শঙ্কা সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
