
নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন করলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন। ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের অবসানের পর ৬৫ বছরে এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ায় পা পড়ল উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার। শুক্রবার ২৭ এপ্রিল সামরিক সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন তিনি।
দুই কোরিয়ার ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে আসা কিম জং উনকে স্বাগত জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন।
সাক্ষাতের পর পরে দুই নেতা বৈঠকে বসেন পানমুনজমের এক বাড়িতে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিস হাউস’।
পীস হাউজে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরুর আগে, মুন এবং কিম পানমুনজমে একটি প্লাজায় হেঁটে গেছেন এবং, গার্ড অফ অনার পরিদর্শন করেছেন বলে সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়।
দুই দেশের বৈঠকের শুরুতে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন বলেছেন, আন্ত:কোরীয় ইতিহাসে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। শান্তির পথে এগিয়ে যেতে এই সম্মেলনে খোলামেলা আলোচনা করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ঐতিহাসিক এই বৈঠকে উত্তরের পরমাণবিক কর্মসূচি, পিয়ংইয়ং ও সিউলের সম্পর্কোন্নয়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়াও সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় বসেন কিম। তাঁর নেতৃত্বে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপক বিকাশ ঘটিয়েছে। আগামী মে মাসের শেষে বা জুনের শুরুতে কিম ও ট্রাম্পের মুখোমুখি সাক্ষাতের সম্ভাবনা আছে বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
জাআ//
