
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘাত নতুন কিছু নয়। তবে চলতি বছরে ভারতের ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সংঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে। পরস্পরের প্রতি সংঘাতের চেয়ে বেশি আক্রমণ হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভাষ্কর্যের প্রতি। কখনো সিপিএম, কোথাও বিজেপি আবার সিপিএমের প্রতি অভিযোগ উঠছে ভাস্কর্য ভাঙার। পাল্টাপাল্টি ভাস্কর্য ভাঙ্গা চলছে ভারতে। ত্রিপুরা, তামিলনাড়ুর পর দেশটির পশ্চিমবঙ্গে এবার ভাঙ্গা হয়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ভাস্কর্য।
কলকাতার রাজাবাজারের কাছে ক্যানাল ইস্ট রোডের নেতাজি সুভাষ পার্কে ঘটেছে ঘটনাটি। বোমা মেরে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে ভাস্কর্যটি। তবে কে বা কারা ভেঙ্গেছে তা জানাতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। স্থানীয়রা বলছেন, পার্কে নেতাজির ভাস্কর্য লক্ষ্য করে বুধবার ২ মে কয়েকজন বোমা নিক্ষেপ করেন। বোমার আঘাতে ভাষ্কর্যের একটা অংশ ভেঙ্গে যায়। নারকেলডাঙা থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনার যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এ জন্য পার্কে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সহিংসতায় ভাস্কর্য ভাঙ্গা শুরু হয় ত্রিপুরা রাজ্যে। দক্ষিণ ত্রিপুরার বিজেপির সমর্থকরা কমিউনিস্ট রাজনীতির বৈশ্বিক নেতা, লেলিনের একটি ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। ত্রিপুরায় ২৫ বছর বাম শাসনের পতনের পর লেলিনের ভাস্কর্য ভেঙ্গে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রকাশ করে বিজেপি। ত্রিপুরার ঘটনার পরে কলকাতায় ভারতীয় জনতা সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মূখার্জির ভাস্কর্য ভাঙচুর করে মুখে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার কেওড়াতলার শশ্মান সংলগ্ন সিআর পার্কের শ্যামাপ্রসাদের ভাস্কর্যটি ছিল। বিজেপি শ্যামাপ্রসাদের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয় ত্রিপুরার পরে কয়েকটি জায়গাতে ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি ভাস্কর্য ভাঙায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যারা এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
আহা/জাআ//
