
পদ্মা বহুমুখি সেতু এলাকায় যানবাহন থামালেই জড়িমানা। পরিস্থিতি তদারকিতে থাকছে প্যাট্রোল টিম। তারপরও রাত নামলেই পুরো এলাকা চলে যায় নিয়মভাঙ্গা পথচারি আর চালকদের দখলে। মহাসড়ক পরিণত হয় আড্ডা খানায়। দেশের প্রথম এক্সপ্রেস হাইওয়ে বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই।
দেশের প্রথম এক্সপ্রেস হাইওয়ে বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক। মুন্সিগঞ্জের পদ্মার ওপারের ২১ জেলার সাথে রাজধানীকে সংযুক্তকারী পদ্মা সেতুর স্বপ্নের মহাসড়ক। এই মহাসড়কের আশপাশের এলাকার জনগণের চলাচলের সুবিধার জন্য রাখা হয়েছে সাইড ওয়ে।
আর এপার থেকে ওপারে যাবার জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি ফুটওভার ব্রিজ।
তবে রাত নামলেই সবাই যেনো নামে নিয়ম ভাঙার প্রতিযোগিতায়। আড্ডা বসে মহাসড়কে। মহাসড়ক পারাপারে সবাই ভুলে যায় ফুটওভার ব্রিজের কথা। এরমাঝে সবচেয়ে ভয়াবহ, নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা হেলমেট ব্যবহার না করা। এমনি অসাবধনতার বলি হন সেতু উদ্বোধনের প্রথম দিন দুই মোটরবাইক আরোহী।
সাধারণ চালকদের মতে বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনা যেকোন যানবাহনেই ঘটতে পারে। সেটি উদাহরণ নিয়ম নয়।
এদিকে বাংলাদেশ মোটরবাইক রাইডার সমিতির নেতার ভাষ্য, বিচ্ছিন্নভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকাটা চালকের নিজস্ব দায়, সবার না।
পুুলিশ বলছে, থানা পুলিশের পাশাপাশি আছে হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত টহল।
এদিকে দিনের বেলাতে নির্ধারিত বাসষ্ট্যান্ড ছাড়াই মানুষের ভিড় বাড়ে খোদ মহাসড়কের পুরো একটি লেন জুড়ে। তাদের নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুরিশ কাজ করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
তবে মহাসড়কের পরিবেশ মানসম্মত রাখতে আত্মসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ পুলিশের।
