
নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি ও এক জিএম। এই ঘটনায় পলাতক আছেন বিমানের বড়কর্তার দুই গাড়ি চালকসহ ২০ জন। ইতোমধ্যে ১০ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুপুরে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে ডিএমপি গোয়েন্দা প্রধান।
বিমানের প্রশ্ন ফাঁসে নিয়োগ কমিটিসহ অন্য আর কারা জড়িত, সেই রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ। পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
দুই দফায় চালানো অভিযানে এ যাবৎ গ্রেপ্তার দশ বিমান কর্মকর্তা কর্মচারি। অভিযোগ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার।
ডিবি প্রধান জানান, প্রথম দফায় ছবি তুলে পরে দ্বিতীয় দফায় মূল প্রশ্নের ফটোকপি করে চক্রের দুই সদস্য।নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায় এড়াতে পারছেন না খোদ সংস্থটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালকও।
এ ঘটনায় নয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। পুলিশ জানায়, অভিযানে দেড় লক্ষ টাকা, ৩২টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের হার্ড ও সফট কপি এবং নিয়োগ প্রার্থীদের ৫৪টি প্রবেশপত্রসহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। গত মাসের ২১ তারিখ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বারোটি পদে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ধার্য ছিল। তবে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি জানাজানি হলে পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
