
জিম্বাবুয়ের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনী হাতে নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে রাজধানীর হারারেতে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। মুগাবের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত এই সমাবেশে তার নিজের দলের নেতারা অংশ নিয়েছে। তবে এর পেছনে সেনাবাহিনী রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন এমন্যাঙ্গাগুয়াকে বরখাস্ত করে স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে উত্তরাধিকারী করা নিয়ে মুগাবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় ক্ষমতাসীন দল আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের। আর সেই সুযোগে ভাইস প্রেসিডেন্টের পক্ষ নিয়ে সেনাবাহিনী চলে আসে ক্ষমতার কেন্দ্রে।
১৫ নভেম্বর অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেয় জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী। ‘মুগাবেকে ঘিরে থাকা অপরাধীদের’ বিরুদ্ধেই এই অভিযান বলে সেনবাহিনী দাবি করে। তখন থেকেই তিনি গৃহবন্দি থাকলেও ১৭ নভেম্বর মতো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মুগাবের দল জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন বা জানু-পিএফ এর পক্ষ থেকেই তাকে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানোনো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে মুগাবেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পাশাপাশি দলের সম্পাদকের পদ ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মুগাবের দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে দল থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। গ্রেস দলের মধ্যে ‘জেনারেশন-৪০’ নামে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। দলের নেতারা বরখাস্ত হওয়া ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন এমন্যাঙ্গাগুয়াকে দলীয় পদে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৮০ সালে জিম্বাবুয়েকে স্বাধীন করার পর থেকে রবার্ট মুগাবেই দেশটির ক্ষমতায় আছেন। স্বল্প সংখ্যক শ্বেতাঙ্গের হাতে থাকা দেশটির অধিকাংশ জমি সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার মুগাবের ভূমি-নীতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা দুটোই আছে। তবে দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়া ও সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির জন্য তার এই ভূমি-নীতিকেই দায়ী করা হয়।
///মাহা
