
আর্জেন্টিনা দলে যেনো বয়ে চলেছে ইনজুরির কালবৈশাখি। ছিটকে গেলেন আরও দুই ফরোয়ার্ড- নিকোলাস গঞ্জালেস ও জোয়াকিন কোরেয়া। তবে, ভরসা একটাই, এখনো অক্ষত দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি। একটা বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষুধায় ছটফট দশায় আছেন, ম্যারাডোনার উত্তরসূরি।
একের পর এক চোটে পড়ছেন খেলোয়াড়রা। তাই, চূড়ান্ত দল ঘোষণায় দেরি করছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। ইতোমধ্যে দল পৌঁছে বিশ্বকাপের ভেন্যু কাতারে। সেখানে যাওয়ার পরদিনই, আকাশি-সাদাদের দলে আরও দুঃসংবাদ। ইনজুরিতে ছিটকে গেলেন দুই ফরোয়ার্ড- নিকোলাস গঞ্জালেস ও জোয়াকিন কোরেয়া।
কাতারে বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের অনুশীলনে নেমেই পেশিতে চোট পান গঞ্জালেস। আর কোরেয়ার পুরোনো হাঁটুর চোট নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই দুজনের জায়গায় দলে ঢুকেছেন অ্যাঞ্জেল কোরেয়া ও থিয়াগো আলমাদা।
ডিয়েগো ম্যারাডোনার উত্তরসূরিদের জন্য, একটা বিশ্বকাপের অপেক্ষা ৩৬ বছর ধরে। কাকতালীয়ভাবে, বিশ্বকাপের আগে টানা ৩৬ ম্যাচ ধরেই অপরাজিত আর্জেন্টিনা। এদিকে, ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ। এবার তাই, লাতিন পরাশক্তিরা যে মরণ কামড় দিতে চাইবে, তাতে আর সন্দেহ কী?
ওদিকে, মেসির মন খারাপ। কাতারে যে কামরায় তিনি থাকছেন, সেখানে আছেন নিঃসঙ্গ হয়ে। কারণ, কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে, দলের সঙ্গে নেই ঘরসঙ্গী সার্জিও আগুয়েরো। গত বছর তার ক্যারিয়ারই শেষ বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসক। আগুয়েরোর সঙ্গে সবখানে কামরা ভাগভাগি করে থাকতেন মেসি। তার বিদায়ে, আর কাউকে ঘরে তুলতে চাননি তিনি।
মন খারাপ থাকলেও, বিশ্বকাপের মাঠে ঠিকই জ্বলে উঠবেন মেসি, এমনটাই প্রত্যাশা দলের সবার। কারণ, এবার না হলে, আর কখনোই নয়। এমন কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে আর্জেন্টাইনদের প্রাণভোমরা।
তানভীর জনি/ফই