
প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবরা। রাইলি রুশোর সেঞ্চুরিতে ২০৬ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে প্রোটিয়া বোলারদোর সামনে দাড়াতেই পারেননি ব্যাটাররা। মাত্র ১০১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
রানের চাপে সিডনিতে দাড়াতেই পাড়লোনা বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৪ রানের বড় হার সাকিব আল হাসানদের। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই বড় ধাক্কা টাইগার শিবিরে।
২০৬ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ছন্নাছাড়া ছিল বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। প্রথম ওভারে দুই বাউন্ডারি হাকালেও প্রথম ম্যাচের মত আত্মবিশ্বাসি ছিলেন না সৌম্য আর শান্ত। দলীয় ২৬ রানের মাথায় সৌম্য ফিরলে ২৭ রানের মাথায় ফেরেন শান্তও। ব্যাটিং বিপর্যয় নেমে আসে টাইগার শিবিরে।
ওয়ান ডাউনে নামা লিটনের সাথে সাকিব নামলেও করেছেন মাত্র এক রান। প্রথম ম্যাচে সর্বোচচ্ রান করা আফিফও ফিরেছেন মাত্র এক রানে। মিরাজ ১১ রান করলেও ডাক মেরেছেন মোসাদ্দেক। উইকেট কিপার সোহানের ব্যাটে এসেছে মাত্র দুই রান। লম্বা সময় মাঠে থেকেও লিটন করেন ৩১ বলে ৩৪ রান। পরে তিন ওভার তিন বল থাকতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওভারেই বাভুমার উইকেট তুলে নেয় তাসকিন আহমেদ। দলীয় ২ রানেই প্রথম উইকেট খুইয়ে বসে প্রোটিয়ারা।
সেটাই শেষ, পরের ১৩ ওভারে বাংলাদেশ আর কোনো সাফল্য পায়নি। কুইন্টন ডি কক আর রাইলি রুশো মিলে গড়েছেন ১৬৩ রানের বিশাল এক জুটি। সেই জুটি ভাঙার তাড়নায় দুটো রিভিউই ইনিংসের সপ্তম ওভারে খুইয়ে বসে সাকিব আল হাসানের দল।
সেই জুটিটা অবশেষে ভাঙল ইনিংসের ১৫তম ওভারে। আফিফ হোসেনের বলে ফিরলেন ফেরেন কুইন্টন ডি কক। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ও নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন রাইলি রুশো। প্রেটিয়াদের ইনিংস থামে পাহাড়সম ২০৫ রানে। বল হাতে সাকিব দুটি এবং তাসকিন, হাসান মাহমুদ ও আফিফ নেন একটি করে উইকেট।
রাজিবুল ইসলাম/ফই
