25 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৪, ২০২৩

মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ের পেছনের নায়ক পরিবার

বিশেষ সংবাদ

- Advertisement -

মাঠে মেসিরা যখন লড়াই করেন ফ্রান্সের সাথে। এর পেছনে নায়কের ভূমিকা পালন করেন পরিবারের সদস্যরা। মা-বাবা স্ত্রী-সন্তানদের অনূপ্রেরণা আর উৎসাহে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা জয় করেন আর্জেন্টিনা। বিশ্ব জয়ের পর পরিবার নিয়ে আনন্দে মেতেছেন মেসি, ডি মারিয়া, দিবালারা। সোনায় মোড়ানো ট্রফিটি তুলে দিচ্ছেন হাতে। আর গলায় পরিয়ে দিচ্ছেন চ্যাম্পিয়নদের মেডেল।

শেষ বাঁশি বাজতেই লিওনেল মেসি হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন, কোপা আমেরিকায় যেমন বসে পড়েছিলেন। সতীর্থরা যে তাকে ঘিরে ধরবেন, তা জানাই ছিল। সে আবেগের রেশটা তখনো কাটেনি। তার মা সেলিয়া মারিয়া কুচিত্তিনিও এসে জড়িয়ে ধরলেন তাকে। লুসাইল স্টেডিয়ামে তখন নেমে এলো দারুণ এক আবেগী মুহূর্ত।

মাঠের ফুটবলে তিনি যেমনই হন না কেন, মাঠের বাইরে যে পরিবারই তার সব, সেটা মেসির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেখলেই ঠাহর করা যায়। ফাইনালেও দেখা মিলল তেমন পরিস্থিতির, শিরোপা জিতেই পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে ভুললেন না।

টানা ৩ বিশ্বকাপে হেরে যখন বিদায় নিয়েছিলেন তখনও মেসিকে পাশে থেকে শক্তি জুগিয়েছেন। মেসি বারবারই তার কথায় পরিবার, স্ত্রী ও সন্তানদের সবকিছুতে, সবার আগে স্থান দিয়েছেন। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়। মেসির মতো তার পরিবারও আনন্দ অশ্রুতে চোখ ভাসিয়েছেন। ট্রফি জয়ের পর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আটকে রাখতে মেসি হয়ে গেলেন ফটোগ্রাফার।

মেসিকে ছাড়াও পরিবার সাথে মাঠে আসেন ডি মারিয়া, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, লাইতারো মার্টিনেজ সহ প্রায় সবাই। পরিবারের সাথে এই উদযাপন প্রসংশা কুড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরিবারের প্রতি এই ভালোবাসা নতুন এক ফুটবলের সূচনা করবে।

এর আগেও মরক্কোর প্রায় সব ফুটবলারদের সাথে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। মা-বাবার সাথে জয় উদযাপ করে কাতারে এক ইতিহাস রচনা করেছে মরক্কোর ফুটবলাররা। পরিবারের এই নিখুত ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণায় ইতিহাস চরনা করেছেন এই আফ্রিকান দেশটি।

বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয়ের পর গ্যালারিতে থাকা মায়ের সাথে উদযাপন করেছিলেন আশরাফ হাকিমি। সেই সময় তোলা ছবিতে দেখা গেছে হাকিমির গালে চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন তার মা। তাদের ওই ছবিও ভাইরাল হয়েছিলো, প্রশংসা কুড়িয়েছিলো সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীর।

- Advertisement -

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বাধিক পঠিত