
গনসালো রামোসকে আগে সেভাবে কী কেউ চিনতো? রোনালদোর জায়গায় নেমে, তিনিই করে দেখালেন, এবারের বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক। সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে, কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল। আরেক ম্যাচে গোলকিপার ইয়াসিন বুনুর নৈপুণ্যে স্পেনকে হারিয়ে, প্রথমবার শেষ আটে মরক্কো।
চমক দিয়ে একাদশ সাজান পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। শুরুর একাদশে নেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০০৮ সালের পরে বড় টুর্নামেন্টে যে ঘটনা আগে ঘটেনি। তার জায়গায় কোচ নিলেন গনসালো রামোসকে।
মাঠে নেমে ওই রামোসই করলেন হ্যাটট্রিক। তরুণ আক্রমণভাগে সুইসদের রক্ষণ গেট ভেঙে ৬-১ গোলের দুর্দান্ত জয় তুলে নিল পর্তুগাল। কাটলো কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন রামোস । এরপর ৩৩ মিনিটের ব্যবধানে ২-০ করেন পেপে। দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে আবারো রামোসের গোল। চার মিনিট পরে জালে বল পাঠান রাফায়েল গুরুইরো। ম্যাচে ফেরার আশা শেষ হয়ে গেলো সুইসদের।
৫৮ মিনিটে এক গোল শোধ দিলেও ৬৭ মিনিটে আবার গোল করেন তরুণ রামোস। পেয়ে যান কাতার বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক। জার্মানির কিংবদন্তি মিরোস্লাভ ক্লোসার পর, প্রথম বিশ্বকাপের অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন, ২১ বছরের এই তরুণ।
এদিকে, হাজারবার পেনাল্টি অনুশীলন করে আসা স্পেনকে, মরক্কো হারিয়েছে সেই পেনাল্টিতেই। টাইব্রেকারে ৩-০ গোলের জয়ে, কাতারে লাল উৎসব করেছে আশরাফ হাকিমিরা।
স্প্যানশিদের বিপক্ষে গ্যালারির মতো মাঠেও ছিল মরক্কোর আধিপত্য। র্যাঙ্কিং, ঐতিহ্য, তারকা খেলোয়াড় সব দিকেই স্পেনের চেয়ে ঢের পেছনে। তবে, মানসিক শক্তি ও টিম স্পিরিটই তাদের মূল শক্তি। গোলশূন্য ম্যাচের পর পেনাল্টি শ্যুট আউটে জিতে প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো।
