ম্যাচ ৫২ | ১ জুলাই (দিবাগত রাত ১২টা)
ক্রোয়েশিয়া বনাম ডেনমার্ক
নিঝনি নভোগ্রাদ স্টেডিয়াম

ফুটবল ১১ জনের খেলা। কিন্তু চিরায়ত সত্যটা আড়াল করে কখনও কখনও ব্যক্তিগত দ্বৈরথ হয়ে ওঠে ম্যাচের মূল আকর্ষণ। লুকা মডরিচ বনাম ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন তেমনি দুই জন। ম্যাচে মডরিচের ক্রোয়েশিয়া ফেভারিট হলেও সময়ের অন্যতম সেরা দুই মিডফিল্ডারের দ্বৈরথ খুবই রোমাঞ্চকর হবে। রিয়াল মাদ্রিদে খেলায় তারকাখ্যাতিতে মডরিচ এগিয়ে থাকলেও ডেনমার্কের স্বপ্নসারথি এরিকসেন কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। টটেনহ্যামের জার্সিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মাতানো এরিকসেনের সঙ্গে একটা জায়গায় দারুণ মিল মডরিচের। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ ও ইউরোর মতো বড় কোনো আসরে অতীতে দু’জনের কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। সেই খেদ মেটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েই রাশিয়ায় এসেছেন মডরিচ ও এরিকসেন।
এবারের বিশ্বকাপটা স্বপ্নের মতো কেটেছে ক্রোয়েশিয়ার। মহাপরাক্রমশালী আর্জেন্টিনার মতো দলকে উড়িয়ে দিয়েছে রেকিটিচ-মডরিচরা। ভালো খেলার পুরস্কাটাও হাতেনাতে পেয়েছে তারা। চ্যাম্পিয়ন হয়েই রাউন্ড অব সিক্সটিনে এসেছে তারা।
অন্যদিকে এক জয় ও দুই ড্রয়ে ফ্রান্সের গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখে ডেনমার্ক। গোলকিপার ক্যাসপার স্মাইকেল আছেন অসাধারণ ফর্মে।
এগিয়ে যেতে দু’দলেরই প্রেরণা ১৯৯৮ বিশ্বকাপ। লাউড্রপ, স্মাইকেলদের সোনালি প্রজন্মের হাত ধরে সেবার শেষবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ডেনমার্ক। ওই বিশ্বকাপেই তৃতীয় হয়ে আরও চমক দেখিয়েছিল ডেভর সুকারের ক্রোয়েশিয়া। এরপর এবারই প্রথম গ্রুপপর্ব পেরোতে পেরেছে ক্রোয়াটরা। মডরিচদের চোখে এখন আরও বড় স্বপ্ন। দুই দশক আগের কীর্তি ছাপিয়ে এবার ফাইনালে খেলতে চায় ক্রোয়েশিয়া।
আমাদের অনুমান ১-০ তে ম্যাচটি জিতবে ক্রোয়েশিয়া। অথবা ম্যাচের নিষ্পত্তি হবে টাইব্রেকারে। যেখানে জিততে পারে যে কেউ।
রিডে//মাও
