
প্রিয় জন্মভুমিকে বেঁেধছেন মায়ার বাহুডোরে। গুছাতে চেয়েছেন প্রান্তিক মানুষের দু:খগাঁথা। ইন্টারনেট ব্যবহার করে কীভাবে অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব সেটিও বুঝিয়ে দিয়েছেন হাতে কলমে।
আর সে হাত ধরেই অন্ধকারে থাকা দেশ আজ বিশ্বায়নের উন্নত মিছিলে। বলছিলাম, সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথা। যার চিন্তা আর মস্তিষ্কপ্রসূত পরিকল্পনায় দেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল।
নাটোরের সিরাজুম মুনীরা, পড়াশোনা শেষ অন্য আট/দশজন যখন প্রচলিত চাকরির জন্য চেষ্টা করেন। মুনীরা তখন প্রযুক্তির দীক্ষা নিয়েছেন। মাত্র দুই-তিনাসের মধ্যেই হয়ে উঠেছেন একজন উদ্যেক্তা।
বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে, পরিবার, পাড়া প্রতিবেশিদের উৎসাহিত করেন, তিনি এখন রোল মডেল।
দেশের আনাচে কানাছে এমন হাজারো মুনীরা নীরবে কাজ করছে, যাদের গল্পটা তিন লাইনেই বলে দেয়া যায়। কিন্তু এই গল্প তৈরির পিছনের যে গল্পটা একটা মহাকাব্য।
সে গল্প ১২ বছরের। অপরসীম ত্যাগ আর চ্যালেঞ্জের গল্প। যাত্রাটা দু’হাজার আট সালের ডিসেম্বরে।
গ্রামে গঞ্জে হাইস্পীড ইন্টারনেট। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। ইন্টারনেট ভিত্তিক তিনশো নাগরিক সেবা। একই মানের শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষা বাতায়ন, মাল্টি মিডিয়া ক্লাসরুম। প্রযুক্তি দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ, এবং ফ্রী ল্যান্সিং। সেখান থেকেই বদলে যাওয়ার শুরু।
ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগানে বদলে দেবার এই মিছিলের নেতৃত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আড়ালের ভাবনাটা আইটি উপদেষ্টার মস্তিষ্ক প্রসূত। আর তিনি তারই পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং হার্ভাড থেকে লোক প্রশাসন নিয়ে অধ্যয়ন করেন। জাতির পিতার রক্ত যার শরীরে সেকি বাঙ্গালীর মুক্তি ভাবনা ছাড়া থাকতে পারে ? দেশ যখন দু:সাশন অনিয়মের শিকলে বন্দি। বেকারত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ। তখন তার প্রযুক্তি নির্ভর চিন্তা দেশকে আলোর পথ দেখায়। যে পথে এগিয়ে যাচ্ছে লাখো মুনীরা।
দেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে শক্তিশালী আইটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা, ই-গভর্ন্যান্স প্রবর্তন ও আইটি শিক্ষা চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারণাপত্র ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
বলা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান কারিগর সজীব ওয়াজেদ জয়। দুই হাজার আট থেকে একুশ- একুশ থেকে একচল্লিশ একই চিন্তায় গ্রথিত-যা তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে স্বপ্ন জয়ের তাড়না, উন্নত বিশ্বে জয় বাংলার কেতন।
আব্দুল্লাহ শাফী/ফই
