অবশেষে ঝুলেই রইলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় ইস্যু। থাইল্যান্ডের ইতাল থাইয়ের শেয়ার চাইনিজ কোম্পানি সিনোহাইড্রোর কাছে হস্তান্তর আপাতত স্থিতাবস্থায় থাকছে। সামাধান হবে সিঙ্গাপুরে আরবিট্রিশন আদালতে অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকে। মীমাংসা না হলে ফের ৩ মাস পর জানাতে হবে আপিল বিভাগকে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শেয়ার হস্তান্তর ইস্যুর শুনানিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশের পর, সকালে আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানী শুরু হয়। যথারীতি ইতালি-থাইয়ের পক্ষে দাঁড়ান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। আর চাইনিজ কোম্পানির পক্ষে লড়েন আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।
শুনানির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, সবাই কোম্পানির পক্ষে দাঁড়িয়েছে, দেশের পক্ষে কেউ নেই। আদালত চায় প্রজেক্টটা সুন্দরভাবে চলুক।
শুনানি শেষে সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তি আদলতের প্রথম বৈঠক পর্যন্ত শেয়ার হস্তান্তর স্থিতাবস্থায় থাকার আদেশ দেন আদালত।
এমন আদেশের ফলে, বন্ধই থাকছে দুই বিদেশি ব্যাংকের অর্থছাড়।
এই প্রজেক্টে থাইল্যান্ড-ভিত্তিক কোম্পানি ইটাল-থাইয়ের ৫১ শতাংশ আর চাইনিজ শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ও সিনো-হাইড্রো করপোরেশনের যৌথ মালিকানায় রয়েছে বাকি ৪৯ শতাংশ শেয়ার।