জুলাই ও আগস্টে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এই বিষয়ে একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এই রুল জারি করেন।
জুলাই-এ শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তীতে ছাত্রজনতা সহ সকলের অংশগ্রহনে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। ধারণা করা হয় ১ হাজারেরো বেশি বিভিন্ন বয়সী জনগণ এই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। অন্দোলনের ফলে হাসিনা সরকারের পতনকে ২৪-এর স্বাধীনতা বলেন অনেকেই।
জুলাই-আগস্টে নিহতদের জাতীয় বীর ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে এই রিট মামলা দায়ের করেন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা আলী নাজের। রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
মামলার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রায়হান আলম ও জাকিয়া হুমায়রা তমা।
রায়হান আলম সাংবাদিকদের বলেন, “যারা নিহত হয়েছেন তাদের কেন ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না; যারা আহত হয়েছে তাদের কেন মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করা হবে না; ওই সময় মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারকে কেন পুনর্বাসন করা হবে না এবং আহতদের কেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে না- এসব বিষয়ে আমরা মহামান্য আদলতের রুল চেয়েছি। শুনানি শেষে মহামান্য আদালত এই রুল জারি করেছেন।”