জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টির ভোট হবে। পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোট হবে।
৮ মে প্রথম ধাপে দেশের ১৫২টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। ১৫ এপ্রিল ছিল প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ সময় শেষ হওয়ার একদিন পর ১৬ এপ্রিল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারণী মহল ১৫ এপ্রিল রাতে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার হতে চায় না বিএনপি। সে কারণে ৮ মে থেকে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিএনপির ৪৫ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলেছেন, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূলের যাঁরা প্রার্থী হচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের যাঁরা ইতোমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশনা পাঠানো হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি তাঁদের দলের পুরোনো অবস্থান। তাঁরা সেই অবস্থানেই অটল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপির এ নেতা বলেন, তাঁরা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, তৃণমূলে কর্মীদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন করার আগ্রহ সেভাবে নেই।
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই, ২২ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের সূচি রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট হবে।