উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ কাল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২২ উপজেলায় ভোট স্থগিত হওয়ায় ভোট হবে ৮৭টি উপজেলায়। সকাল থেকেই এসব এলাকাগুলোতে চলছে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ।
রিমালের প্রভাবে সারা দেশেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজমান রয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচন আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতিও কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা সোমবার মধ্যরাতেই শেষ হয়েছে। রাতেই দুর্গম এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানো হবে। এ ছাড়া বাকি কেন্দ্রগুলোতে ভোটের দিন ভোরেই এসব পাঠানো হবে।
টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলায় ভোটগ্রহন উপলক্ষ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। নির্বাচণী সরঞ্জাম বিতরণ হয়েছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলায়।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা ও দিনাজপুরের ৩ টি- সদর, চিরিরবন্দর এবং খানসামা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের নির্বাচনী উপকরন বিতরন করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদরে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে এসব সরঞ্জাম।
শরীয়তপুরে ইভিএমএর মাধ্যমে ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলার অনুষ্ঠিত হবে। বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা থাকায়, এ দুটি উপজেলায় জেনারেটরের ব্যবস্থা করেছেন জেলা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
তৃতীয় ধাপে দেশের ১০৯টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দুর্গত এলাকা বিবেচনায় উপকূলীয়সহ ২২ উপজেলা পরিষদের ভোট স্থগিত হওয়ায় এখন ৮৭টি উপজেলায় ভোট হবে। ৩ হাজার ২৭৭ জন পর্যবেক্ষক তৃতীয় ধাপের এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।