হিমালয়ের কাছে ভারতের লাদাঘ। ভ্রমণপিসাসুদের কাছে বরাবরই আকর্ষণীয় স্থান। লাদাখের হেমিস গ্রাম থেকে থিক্ষা মঠ গেলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। থিক্ষা মূলত তিব্বতের পোটালা প্রাসাদের অনুকরণে ১২ তলা একটি বিশাল অবকাঠামো। লাদাখের লেহ অঞ্চল থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৪৯ ফুট দীর্ঘ মাইট্রেয়ার ভাস্কর্য যা লাদাখ অঞ্চলে সর্বোচ্চ এবং আরও অনেক বুদ্ধ স্মৃতিচিহ্ন যেমন পুরাতন থাংকাস, চিত্তাকর্ষক আরও অনেক স্থাপনা। লাদাখের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে আলচি ফুকটাল, কাশা এবং দিসকিট মঠ ঘুরে দেখা যেতে পারে। বিশ্বের সবোর্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট ধারনকারী হিমালয় পাহাড়ের মাঝের আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য্য উপভোগে লাদাঘ ঘুরে দেখা উচিত।
হিমালয়ের সুউচ্চ পাহাড়ি ঢালের মাঝে লাদাখ যেন প্রকৃতির অপরুপ এক লীলাভূমি এবং পুরাতন ঐতিহ্যমন্ডিত স্থান। নান্দনিক উপাসনাস্থানগুলোতে ছড়িয়ে আছে সর্বজনীন বার্তা। প্রার্থনার পতাকা, দৃষ্টিনন্দন চিত্রাঙ্কন এবং মন্ত্রের মাধ্যমে শত শত বছরের লালিত জ্ঞানের চর্চা হয়।
সুবিশাল দৃশ্যপটের এ সৌন্দর্য্য উপভোগে লাদাখ যাওয়া যায় কয়েকভাবে। বিমানে করে যাওয়াটাই সবথেকে দ্রুত এবং সুবিধাজনক। লেহ এর কুশক বাকুলা রিমপোচি বিমানবন্দরের সঙ্গে দিল্লি, মুম্বাই এবং শ্রীনগরের ভালো যোগাযোগ রয়েছে। যাত্রা পথেও দৃশ্যপট উপভোগ্য।
![](https://nagorik.com/wp-content/uploads/2024/03/image-2.png)
দিল্লি, মানালি ও লেহ অঞ্চলে চলাচলকারী বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি বাসে করেও লাদাখ যাওয়া যায়। মানালি এবং শ্রীনগর থেকে অনেকে ভাড়া করা বাইকে করেও লাদাখ গিয়ে থাকেন।
![](https://nagorik.com/wp-content/uploads/2024/03/image-3.png)
লাদাখের ইন্দুস নদীর তীরে অবস্থান হেমিস মঠের। ১৬৩০ থেকে লাদাখে বৌদ্ধ ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর একটি এটি।
![](https://nagorik.com/wp-content/uploads/2024/03/image-4.png)
হেমিস মঠ
৯শ বছরের পুরোনো এই জাদুঘরে পবিত্র হিসেবে বিবেচিত চিত্রকর্ম থাংকাসসহ গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নির্দশন রয়েছে, যেগুলো লাদাখের অতীতে নিয়ে যাবে। ভক্তদের ভক্তি এবং ঐতিহ্যের গল্প সাজানো রয়েছে চিত্রকর্মসহ অন্যান্য স্থাপনার সঙ্গে। তিব্বতিয়ান ক্যালেন্ডারের ৫ম মাসে মুখোশপরে পবিত্র নৃত্যু বা হেমিস উৎসবও ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে প্রিয়। বিখ্যাত প্যাংগং লেকে যাওয়ার আগে হেমিস মঠের দেখা মিলবে।
![](https://nagorik.com/wp-content/uploads/2024/03/image-5.png)
প্যাংগং লেক
লাদাখের পুরোনো মঠগুলোর একটি আলচি মঠ। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ১১ শতকের সময়কার ইতিহাস।
![](https://nagorik.com/wp-content/uploads/2024/03/image-6.png)
আলচি মঠ
লাদাখের পুরোনো মঠগুলোর একটি আলচি মঠ। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ১১ শতকের সময়কার ইতিহাস। পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত একটি মঠের নাম স্পাইটুক। ১১ শতকে প্রতিষ্ঠিত এই মঠের আরেক নাম স্পাইটুক গোমপা যা মনের শান্তি এবং আধ্যাত্মিক উপাসনার জন্য বিখ্যাত।
![](https://nagorik.com/wp-content/uploads/2024/03/image-7.png)
স্পাইটুক
লেহ থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থান থিকসে মঠের। লাদাখের প্রকৃত স্থাপন্য এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতীকও মনে করা হয় এই মঠকে। ১৫ শতকের উপাসনাকেন্দ্র সবথেকে বড় মঠগুলোও একটি।
![](https://nagorik.com/wp-content/uploads/2024/03/image-8.png)
থিকসে মঠ
১৪শ শতকে প্রতিষ্ঠিত দিসকিত গোম্পা এ এলাকার আধাত্মিক সাধনার প্রতীক।
![](https://nagorik.com/wp-content/uploads/2024/03/image-9.png)
দিসকিত গোম্পা