21 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

কমানোর চাপের পরেও বাজেটে বাড়ছে ভর্তুকি-প্রণোদনা

কমানোর চাপ আছে, তবুও বাজেটে ভর্তুকি-প্রণোদনা বাড়াতেই হচ্ছে অর্থমন্ত্রীকে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে, এ খাতে বরাদ্দ হতে পারে প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। শুধু বিদ্যুৎখাতেই ভর্তুকির প্রস্তাব ৪০ হাজার কোটি টাকা। কিছু খাতে ভর্তুকি তহবিলের অপচয় পরিতাপের মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায়। ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের দুই কিস্তি পাওয়া গেছে, চলতি মাসেই পাওয়া যাবে তৃতীয় কিস্তি। ঋণ দিয়ে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি। তার একটি ভর্তুকি-প্রণোদনা কমানো।

তবে অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি যখন টগবগে, তখন একুল-ওকুল সামাল দেয়া কঠিন। তারপরও সরকার, হাটছে, আইএফএফের শর্তের পথে, দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে গ্যাস, বিদ্যুতের দাম। বেড়েছে সারের দামও। তবে, অর্থনীতির এ উদ্বেগ স্বীকার করছেন অর্থমন্ত্রীও, যা তাকে চিন্তা ফেলেছে বাজেট তৈরিতে।

তবে, কমানোর চাপ থাকলেও, তাই নতুন বাজেটেও ভর্তুকি প্রণোদনায় বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতে পারে। মোট বরাদ্দ প্রস্তাব হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি, যা বর্তমান বাজেটে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার কোটি কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র মতে, বরাদ্দের ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা যাবে ভর্তুকিতে। মোট বরাদ্দের ৪০ হাজার কোটি টাকা যাবে বিদ্যুতে, ২৫ হাজার কোটি টাকা কৃষিতে, এলনজিতে যাবে আরও ৭ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটে ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করার প্রস্তাব থাকছে প্রণোদনায়। দুই হাজার কোটি টাকা বাদ দিয়ে, রপ্তানি ও কৃষিতে যাবে পুরো অর্থ।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন