বিশ্বকাপের শুরু থেকে নিউ ইয়র্কের পিচ শিরোনামে রয়েছে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকা বিশ্বকাপ আয়োজন করার পর আমেরিকার মাঠগুলোকে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের পিচ হাসি ফোটাতে পারেনি কারও মুখে। মাঠও যুতসই হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের পিচে নামছে ভারত পাকিস্তান। আর এই ম্যাচে নামার আগে পিচ নিয়ে ফের সরব হলেন রোহিত শর্মা।
নাসাউয়ের পিচে পেসাররা সুবিধা পাচ্ছেন। বিশেষ করে নতুন বল বোঝা ব্যাটসম্যানদের কাছে কঠিন হচ্ছে। ড্রপ ইন পিচ বুঝতে প্লেয়ারদের বেশ সমস্যা হচ্ছে।
এমন অবস্থায় সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘নিউইয়র্ক তো আমাদের ঘরের মাঠ নয়। আমরা এখানে দুটো ম্যাচ খেলেছি। তবুও এখানকার পিচ নিয়ে খুব বেশি ধারণা নেই। একেক দিন একেক রকম আচরণ করছে পিচ। এমনকি পিচ কিউরেটরও কনফিউজড। এর থেকেই বোঝা যায়, আমাদের অবস্থাটা কিরকম। আমরা এখনও জানি না, পাকিস্তানের বিপক্ষে কোন পিচটায় খেলা হবে। তবে এটুকু বলতে পারি যে দল ভালো খেলবে এবং আমরাই জিতব।’
এদিকে, ভারত নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই পিচেই খেলেছিল। যেখানে কোনো বল অনেক নিচু, আবার কোনোটিতে অস্বাভাবিক বাউন্স উঠতে দেখা গিয়েছে। এই পিচেই একটি বাউন্সার রোহিতের কাঁধে আঘাত করে, যার কারণে তিনি ফিফটি করার পর বেশিক্ষণ ব্যাট করতে পারেননি। ফলে, ক্রিজ ছেড়ে যান রিটায়ার্ড আউট হয়ে। এ ছাড়া ভারতের জয় নিশ্চিত করা রিশাভ পান্তও পিচে বলের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণে নাজেহাল হয়েছিলেন। যা নিয়ে বেশ সমালোচনা করেছেন ভারতের সাবেক তারকা থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
এছারা, নিউইয়র্কে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। যদিও ৭৮ রান তাড়া করতেই ঘাম ছুটে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। পরবর্তীতে একই ভেন্যুতে ভারতের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড মাত্র ৯৬ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল। এমন অবস্থায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ভেন্যু পরিবর্তনের দাবি উঠলে সেটি সম্ভব নয় জানিয়ে আইসিসি বলেছিল, পরবর্তী ম্যাচগুলোতে সেরা পিচ দিতে পরিকল্পনা করছেন তারা। এমনকি পিচের উন্নতিতে মাঠকর্মীদের নির্দেশনাও দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।