21 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ

রাকিবুল হাসান রোকেল, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি 

কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ২৭ বস্তায় ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। জেলা শহরের ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে নয়টি দানবাক্স আছে। প্রতি তিন মাস পর পর এই বাক্সগুলো খোলা হয়। রমজানের কারণে এবার খোলা হয়েছে ৪ মাস ১০ দিন পর।  

২০ এপ্রিল সকাল সা‌ড়ে ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও মস‌জিদ ক‌মি‌টির সভাপ‌তি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজা‌দ এবং পু‌লিশ সুপা‌র মোহাম্মদ রাসেল শে‌খের তত্ত্বাবধানে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। ২১ এপ্রিল দিনভর গণনা শেষে পাওয়া গেছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। সকাল ৭টা থেকে রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত চলে গণনা।

টাকা গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ছাড়াও মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নেন। দানবাক্সগুলো খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করেন উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর  তিনমাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ টি বস্তায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এই মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এতো টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড।  

নগদ অর্থের বাইরেও মসজিদে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ। জেলার হারুয়া এলাকায় নরসুন্দার তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেটি সম্প্রসারিত হয়ে ৩ একর ৮৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন