ভুয়া সনদ বাণিজ্যে অসাধু দুদক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের দেয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট শামসুজ্জামান এ কথা স্বীকার করেছেন।
ঘটনা গত পহেলা এপ্রিল, জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি ও বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় কারিগরি বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ এ কে এম শামসুজ্জামানকে। বিপুল পরিমাণ জাল সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও কয়েক হাজার মূল সনদসহ দলিল উদ্ধার হয়।
তাকে চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বেরিয়ে আসে অনেকের নাম। এর জের ধরে ওএসডি হন বোর্ডের মহাপরিচাল, গ্রেপ্তার হন তার স্ত্রী। সামনে আসে অসাধু দুদক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের জড়িত থাকার বিয়য়।
এর মধ্যেই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে শামসুজ্জামান। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ আরো জানান, জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট জব্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ জানায়, যতই ক্ষমতাবান হোক না কেন , সার্টিফিকেট জালিয়াতির সাথে যারা জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।