19 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

ট্রাম্পের ওপর হামলা করা কে এই টমাস ম্যাথিউ

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি ছুরে হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন সন্দেহভাজন হামলাকারী টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। ২০ বছর বয়সী এই তরুণ পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বেথেল পার্ক এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। তারা হামলার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখছে। 

গতকাল শনিবার (১৩ জুলাই) পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে পাশের একটি ভবনের ছাদ থেকে গুলি করেন টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। গুলির পরপরই ট্রাম্প মঞ্চে বসে পড়েছেন। তাঁর ডান কান দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা গিয়েছে। এ সময় গুলিতে নিহত হয়েছেন সমাবেশে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি। আহত হন আরো দু’জন। 

ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টিরই নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ক্রুকস। আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হতেন তিনি। হামলা চালানোর সময় তাঁর হাতে এআর-১৫ আধা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ছিল বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের জানিয়েছে। 

জানা গিয়েছে, ক্রুকসের বয়স যখন ১৭ বছর, তখন ‘অ্যাক্টব্লু’ নামের একটি সংগঠনে ১৫ ডলার অনুদান দিয়েছিলেন তিনি। এই সংগঠন বামপন্থী ও ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিবিদদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে। পরে ক্রুকসের ওই অনুদান ‘প্রোগ্রেসিভ টার্নআউট প্রজেক্ট’ নামের ডেমোক্রেটিক পার্টি সমর্থিত একটি গোষ্ঠীকে দেয়া হয়েছিল।

সংবাদমাধ্যম পিটসবার্গ ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, ২০২২ সালে বেথেল পার্ক হাইস্কুল থেকে পাস করেছিলেন টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ম্যাথ অ্যান্ড সায়েন্স ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের আওতায় ‘স্টার অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে ৫০০ ডলার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। আর নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এক অনুষ্ঠানে তাকে ডিপ্লোমা সনদ নিতেও দেখা গিয়েছে।

বাটলার এলাকায় যেখানে ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে বসবাস করতেন ক্রুকস। হামলার পর আজ রোববার ‘বিশেষ নিরাপত্তার কারণে’ বেথেল পার্ক এলাকার আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  

ক্রুকসের বাবা ম্যাথিউ ক্রুকস (৫৩) সিএনএনকে বলেছেন, কী ঘটেছে, তা বোঝার চেষ্টা করছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার আগে ছেলের সম্পর্কে কিছু বলতে চান না তিনি।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন