19 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

থাইল্যান্ডের সঙ্গে যে ৫ নথি সই করেছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনার বিষয়ে ৫টি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়েছে।

নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১টি চুক্তি, ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও ১টি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।

আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে তাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এই নথিগুলো সই করা হয়।

নথিগুলো যেসব বিষয়ে- অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি; জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক; শুল্ক সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক; পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরুর বিষয়ে এলওআই।

বাংলাদেশের পক্ষে জ্বালানি সহযোগিতা ও পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ভিসা অব্যাহতি নিয়ে চুক্তিতে সই করেন। এলওআইয়ে সই করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং অপর সমঝোতা স্মারকে সই করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উভয় পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে এবং দুই দেশ এই ইস্যুতে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই করেছে।

তিনি বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে মসৃণ যোগাযোগ সহজতর করতে দুই দেশ অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সম্পর্কিত চুক্তিতে সই করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক সই করা হয় এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সেরা পর্যটন অনুশীলনগুলো বিনিময় করার জন্য শেষ সমঝোতা স্মারকটি সই করা হয়।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আশাবাদ ব্যক্ত করছে- লেটার অব ইনটেন্ট আলোচনার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে ভ্রমণে আরও সুবিধা দেবে; জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত এই সমঝোতা স্মারক জ্বালানি সহযোগিতা থেকে দু’দেশের প্রকৃত সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করবে; শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার সমঝোতা স্মারক কার্যকর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেবে এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশকে এই ক্ষেত্রে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম অনুশীলনের আদান-প্রদান করার সুযোগ তৈরি করবে।

এর আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে থাভিসিন তাকে স্বাগত জানান এবং তারপর থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

গভর্নমেন্ট হাউসে থাই হস্তশিল্প প্রদর্শনী পরিদর্শনকালে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন