দুদকে মামলা হওয়ার পর ছুটিতে আছেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপক হুজ্জত উল্লাহ। মামলার দাপ্তরিক চিঠি পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। ঢাকায় ফ্ল্যাট, বাড়ি, জায়গা-জমি থাকলেও, হুজ্জত ও তার স্ত্রীর গ্রামের বাড়িতে তেমন কোনো সম্পদের খোঁজ মেলেনি।
২০২১ সালে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপক হুজ্জত উল্লাহ ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারি করে দুদক। দাখিল করা বিবরণীতে প্রায় ৬ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য মেলে। এরপর গত ৮ জুলাই দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ হুজ্জত ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার বনশ্রীতে দোতলা ভবন, খিলক্ষেতের কনকর্ড টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ও গাজীপুরের আশুলিয়া এলাকায় আলাদা দুটি স্থানে প্রায় ২৫ শতাংশ জমি রয়েছে তাদের নামে। তবে গ্রামের বাড়িতে তেমন সম্পদ বা দৃশ্যমান স্থাপনা নেই।
হুজ্জত উল্লাহর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের বেতবাড়ি এলাকায়। তার পৈতৃক বাড়িতে আধাপাকা ও টিনশেডের দুটি ঘর রয়েছে। সেখানে তার ছোট ভাই ও বৃদ্ধা মা থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, হুজ্জত নিজ নামে এলাকায় ৬-৭ বিঘা ফসলি জমি ক্রয় করেছেন। চাকরির পাশাপাশি জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ঢাকায় তার কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বিষয়টি জানা নেই পরিবারের কারো।
এদিকে, হুজ্জত উল্লাহ ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড- ডিপিডিসির সম্পত্তি ও পরিবহণ শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। তার কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, তিনি এখন ছুটিতে।
হুজ্জত উল্লাহ ও তার স্ত্রীর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন করে দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ বিষয়ে দুদকের অনুমোদনের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।