21 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

নওগাঁয় তৈরি কুপিয়া টুপির চাহিদা বাড়ছে ওমানে

সরকারি কড়াকড়ির কারণেও ওমানে পুরুষরা টুপি পরে থাকেন। তাদের জাতীয় টুপির নাম কুপিয়া। কুপিয়াসহ ওমানে ব্যবহৃত অনেক টুপিই তৈরি হয় বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে।

নওগাঁর টুপি তৈরির স্থানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ির উঠোনে বসে গল্প করতে করতে নিপুণ হাতে টুপিতে বাহারি নকশার কাজ করেন গ্রামের নারীরা। সংসারের কাজের ফাঁকে সব বয়সী নারীরাই কমবেশি টুপি বানানোর কাজ করেন। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভালাইন, মধুবন, কুঞ্জবন, খাজুর, রনাইল, খোসালপুর, সুলতানপুর, উত্তরগ্রাম শিবগঞ্জ, গোয়ালবাড়িসহ মোট ৬০টি গ্রামে ঢুকলেই চোখে পড়বে সুই-সুতার দারুণ এই কর্মযজ্ঞ। প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি নারী এই টুপি তৈরির কাজ করছেন।

প্রত্যন্ত গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের এসব টুপির প্রধান ক্রেতা ওমান। তাদের দেওয়া ডিজাইন অনুযায়ী টুপি তৈরি হয়। বোতাম, চেইন, দানা ও মাছকাটা নামের বেশ কয়েক ধরনের নকশার কাজ করা হয় কুপিয়া টুপিতে। তবে শুধুমাত্র নকশাতেই শেষ হয় না টুপি তৈরির কাজ। একটি টুপি ব্যবহার উপযুক্ত হতে পাঁচবার হাতবদল হয়। এরপরে দেশীয় রপ্তানিকারকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওমানে।

টুপিতে নকশা তোলার কাজটা তেমন সহজ কোন কাজ নয়। বরং অনেক সুক্ষ্ম একটি কাজ। এমনও অনেক নকশা আছে যা কুপিয়ায় ফুটিয়ে তুলতে প্রায় এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। কুপিয়া টুপির বাহারি সৌন্দর্য্যে পরিচয় মিলবে নকশার কাজে নিয়োজিত গ্রামীণ নারীদের দক্ষতা আর শ্রমের। সারাবছরই ওমানে টুপির চাহিদা থাকে। তবে রপ্তানিকারকরা উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেন না বলে অভিযোগ করেন হস্তশিল্পে যুক্ত নারীরা।

টুপি তৈরি করে সংসারে অবদান রাখছেন গ্রামীণ নারীরাও। সংসার খরচের সঙ্গে সন্তানদের পড়াশোনায়ও তারা তাদের উপার্জিত অর্থ খরচ করছেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন