ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
মধুখালীর ঘটনা-পরবর্তী সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার এ ঘোষণা দেন। বলেন, চেয়ারম্যান শাহ মো. আসাদুজ্জামান তপন এবং মেম্বার অজিত কুমার বিশ্বাসের সম্পৃক্ততার যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারে কেউ যদি সহায়তা করে তাহলে তাদের উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্ট দেওয়ার সময় আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডিসি বলেন, “চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন একজন স্বভাবজাত অপরাধী। কোথায় কখন কীভাবে লুকিয়ে থাকতে হয়, সেটি তিনি ভালো জানেন।”
“তিনি আত্মগোপনে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন রেখে গেছেন। এর আগে আমরা মাগুরায় তার অবস্থান শনাক্ত করি। কিন্তু যখন তাকে ধরার জন্য অভিযান চালানো হয়, তখন যশোরে পালিয়ে যান। এরপর যশোরেও তাকে ধরতে অভিযান চালানো হলেও পাওয়া যায়নি।”
স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপরে হামলা ও টিসিবির কার্ড নিয়ে দুর্নীতির কারণে তপনকে দুইবার বরখাস্ত করা হয়েছিল জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “দুইবারই উচ্চ আদালতে আপিল করে তিনি পদ ফিরে পান। এ কারণে তার মধ্যে এক ধরনের বেপরোয়া মনোভাব তৈরি হয়েছে। তিনি ভেবেছিলেন, যত অপরাধই করুক না কেন, তিনি পার পেয়ে যাবেন।”
১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের একটি কালী মন্দিরে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থানরত নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা হয়।
সেখানে পিটুনিতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঘোপেরঘাট গ্রামের ২১ বছর বয়সী আশরাফুল ও তার ভাই ১৫ বছর বয়সী আশাদুল।