রপ্তানি বন্ধ, তবুও বাজারে ইলিশের দাম নাগালে নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাম কমার খররে বাজারে গিয়ে বিভ্রান্তিতেও পড়ছেন কেউ কেউ।
সবচেয়ে ছোট ৪টায় কেজি হবে, প্রতি পিসও গড়ে পৌনে দুইশ টাকা পড়ছে। আর ২ কেজি আকারের ইলিশের একেকটার দাম সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।
আমজাদ হোসেন, কাওরান বাজারে ছোট আকারের ইলিশ দামাদামি করছিলেন। প্রতিটি আড়াইশ গ্রাম ওজনের, চারটায় এক কেজি হবে। এমন ইলিশের দামও প্রতিকেজি ৬শ টাকায় কিনলেন।
বলছিলেন, বড় ইলিশ কেনার সামর্থ্য নেই, পরিবার এর আগেও ইলিশ কিনতে বলেছিলো, কেনা হয়নি। এবার তাই, স্বাদ নেয়ার জন্য ছোট মাছই কিনলেন।
এবার ইলিশ রপ্তানির সুযোগ নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধমেও খরব, দাম কমেছে। যদিও বাজারে গিয়ে অনেকে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন। জিআই পণ্যটির উচ্চ মূল্য নিয়ে হতাশ অনেকে।
ইলিশ উৎস থেকে কয়েক হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে যায়। জেলেরা ধরার পর, আড়তে এক কেজি ওজনের দাম পড়ে এক হাজার থেকে ১১শ টাকা। কিন্তু ঢাকায় তার দাম ১৪শ থেকে দেড় হাজার টাকা। আর দুই কেজি, এমন মাছের কেজি ২৮শ টাকা।
মৌসুম হিসেবে বলা হয়-মে জুন। অবশ্য, বিগত বছরগুলো তুলনায় এবার ইলিশের দেখা মিলছে অনেক কম। পযাপ্ত মাছের জোগান না থাকলে দাম কমার সুযোগ নেই, বলছেন বিক্রেতারা।
আশা করছেন, চলতি সপ্তাহে, মাছ আহরণ বাড়তে পারে। জেলেদের জালে মাছ বেশি পড়লে দাম হয়তো কিছুটা কমবে, তবে তাতে যে গরীবের পাতে ওঠবে, তা বলা যাবে না।