রাব্বি আহমেদ, মেহেরপুর প্রতিনিধি।
সাত বছর আগে পরিবারের সফলতার ফেরাতে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমিয়েছিলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামের যুবক লাল্টু মিয়া। কয়েক বছর বিদেশ থাকার পর তার চাচাতো ভাবি বিলকিস, হীরা খাতুন নামের তার মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া ননদের সঙ্গে লাল্টুকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
অভিযোগ উঠেছে, বিয়ের দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেবরের কাছ থেকে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তার ভাবি। এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। লেনদেনের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময় ওই শিক্ষার্থীর লেখাপড়া খরচের জন্য হাতিয়ে নেন অর্ধ কোটি টাকা। বিয়ের জন্য দেশে আসার কথা বললে ভাবি বারবার নিষেধ করেন এবং বলেন তার লেখাপড়া এখনো শেষ হয়নি। ভাবির কথা বিশ্বাস করে প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে ৫ বছরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী যুবক লাল্টু প্রায় অর্ধ অর্ধ কোটি টাকা দেন হীরার মুঠোফোনে।
দেশে আসার পরও লাল্টুর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেন বিলকিস ও তার ছেলে। পরে হীরার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন লাল্টু।
লাল্টুর বাবা দুখু মিয়া জানিয়েছেন, ছেলে আমাকে সংসার খরচ চালাতে ৫ হাজার টাকা দিত। ছেলের কথামতো আমার ক্ষেত থেকে উৎপাদিত ফসলও পুত্রবধূকে দেওয়ার জন্য বিলকিসকে দিতাম।
লাল্টুর মা আনজেরা খাতুন জানিয়েছেন, ওই মেয়ে সাত বছর ধরে মোবাইল ফোনে আমাদের সাথে কথা বলেছে। জিনিসপত্র চেয়েছে, আমরা দিয়েছি। পরে ছেলে দেশে ফেরার পরে মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি বিলকিসের স্বামী টুটুল মিয়া।
মেহেরপুরের গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বিকাশ অফিস থেকে লেনদেনের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।