21 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আবারো বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশজুড়ে আবারো বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।

দ্বিতীয় দফার বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জে ফের বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক প্লাবিত হয়ে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও, গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে আবারো বেড়েছে সিলেটবাসির দুর্ভোগ। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপরে আছে। বন্যায় ১৩টি উপজেলার ৯৫টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৪১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে আবারও বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের পানি। বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে তিস্তার পানিও। চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের বন্যা কবলিত ২ লক্ষাধিক মানুষ।

টাঙ্গাইলে প্রধান তিন নদী যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাইয়ের পানি আবারো বৃদ্ধি পাওয়ায়, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত আছে। কয়েকটি উপজেলার বিস্তির্ণ জনপদের বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলী জমিসহ অন্যান্য স্থাপনা তলিয়েছে।

জামালপুরে বন্যার পানিতে ৪ জনের প্রাণহানিসহ প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গত ১২ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন