গত চার দিন অফিসে যাননি গভর্নর। তবে, তিনি তার সরকারি বাসনভবন ছেড়ে গেছেন। তিনি দেশে না কি বিদেশে আছেন, তা নিশ্চিত করছেন না কেউ। এদিকে, ব্যাংকিং খাতের চলমান অস্থিরতার মধ্যে, বদলে গেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা। অন্যদিকে, ইউসিবির পর্ষদ ভেঙে দিতে বিক্ষোভ করেছেন শেয়ার হোল্ডাররা।
সকালেই শেয়ার হোল্ডারদের একটি অংশ, গুলশানের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের করপোরেট অফিসের সামনে জড়ো হন। তারা সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিতে থাকেন। তাদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা, আওয়ামী লীগের এ নেতার হাত থেকে ব্যাংকটিকে রক্ষা করার কথা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে, সেখানে ছুটে আসে সেনাবাহিনী। তারা দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেন, এক পর্যায়ে ব্যাংকের এমডি আরিফ কাদেরকে নিচে নেমে আসতে বলা হয়। তিনি শেয়ার হোল্ডারদের থেকে, দাবির স্মারকলিপি নেন।
স্মারক লিপিতে বলা হয়, বর্তমান পর্ষদ ভেঙে দিতে হবে, গঠন করতে হবে নতুন পর্ষদ। সাইফুজ্জামান ব্যাংকটির অবনতির নায়ক বলেও অভিযোগ তদের।
এদিকে, বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা বদল হয়েছে। ব্যাংকের আগের পর্ষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক, বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছে। তবে সব আইনি প্রক্রিয়া মেনে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অস্থিরতা দূর করতে হবে।
অন্যদিকে, গত সোমবার থেকে অফিস করছেন না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালকুদার। তার পদত্যাগের দাবিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মীদের একটি অংশ ফুঁসে উঠেছে। পদত্যাগ না করলেও, সরকারি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন গভর্নর। তিনি দেশে আছেন না কি বিদেশে চলে গেছেন, তা কেউ নিশ্চিত করতে পারছেন না।