19 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে উদ্বেগে আমানতকারীরা

ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে উদ্বেগে আমানতকারীরা। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি- দুই শ্রেণীর আমানতকারীই টাকা ফেরত পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। ফলে বেসিক ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে, আর চাপ পড়েছে পুরো ব্যাংক খাতে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্জারের প্রক্রিয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৌশলগত ক্রটি এর পেছনে দায়ী।

বেসিক ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার মেয়াদি আমানত রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। একই ব্যাংকে শাহজালাল ফার্টিলাইজারের মেয়াদি আমানত ১০ কোটি টাকা। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান দুটি আমানত ফেরত চেয়ে চিঠি দেয় বেসিক ব্যাংককে। বর্তমানে দুর্দশাগ্রস্ত বেসিক ব্যাংকের সঙ্গে বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছে। যদিও, ব্যাংকটির পর্ষদ সরকারকে চিঠি দিয়েছে এর বিপক্ষে। কেবল বেসিক ব্যাংক থেকেই প্রায় আড়াই হাজার কোটি তুলে নিয়ে গেছে এর গ্রাহকরা। অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর অবশ্য সঞ্চয়কারীদের আতঙ্ককে সমর্থন করছেন। তিনি বলেন, “আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যখন রুগণ গয়ে পড়ে তখন, তখন অনেক আমানতকারীই তাদের অর্থ ফেরৎ পায় না।”

টাকা তোলার চাপ বেড়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের গ্রাহকের মধ্যেও। ফলে ব্যাংকটির পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে। তাড়াহুড়ো করে আমানতকারীদের টাকা উত্তোলন প্রচণ্ড চাপে ফেলেছে। আর অনেক গ্রাহক বড় অংকের আমানত তুলে নিয়েছেন।  

এমন পরিস্থিতি যে কেবল মার্জার প্রক্রিয়ায় নাম আসা ব্যাংকেরই তা নয়, পুরো ব্যাংকিং খাতেই উদ্বেগ। প্রতিদিনই ব্যাংকের আতংকিত কোনো না কোনো গ্রাহকরা শাখায় আসছেন, খোঁজ নিচ্ছেন, তার সঞ্চয় খোয়া যাবে কিনা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন