20 C
Dhaka
শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকে সংকট কাটাতে আইন হচ্ছে

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থায় শৃংখলা ফেরাতে অবেশেষে আইনের পথে হাটছে অন্তবর্তী সরকার। এজন্য একটি আইনের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সাম্প্রতিক ঋণ অনিয়মে কয়েকটি বাদে সংকটে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, কেবল ধর্মীয় অনূভূতি নয়, শরিয়াহ আইন পুরোপুরি কাযকর করতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে।

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকে সংকট কাটাতে আইন হচ্ছে
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকে সংকট কাটাতে আইন হচ্ছে

১৯৮৩ সালে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং চালু হয় দেশে। সবশেষ হিসাবে, ব্যাংকিং খাতের মোট সম্পদের প্রায় ২৪ শতাংশ, আমানত ও বিনিয়োগের ২৭ শতাংশের আশেপাশে ইসলামী ব্যাংকগুলোর হাতে।

চারদশকের ব্যাংক ব্যবস্থা হলেও, এর প্রসার হয়েছে কোন আইন ছাড়াই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি নীতিমালার আলোকে চলছে কার্যক্রম। আইনও দিক নির্দেশনা ছাড়া দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে।

তবে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে প্রকাশ পাওয়া ব্যাংক কেলেংকারিতে, ২/৩টি ছাড়া সংকটে পড়ে সব ইসলামী ব্যাংক। যা থেকে, অন্তবর্তী সরকারের চিন্তা, দ্রুতই এসংক্রান্ত আইন প্রণয়ণের। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানালেন, বিশদ আইন হলে শক্তিশালী হবে ইসলামি ধারার ব্যাংকিং খাত।

দেশে এখন পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক রয়েছে ১০টি। এর বাইরে, প্রচলতি ব্যাংকগুলো ইসলামী ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে, তবে আইনে এমন সুযোগ আর থাকবে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, কেবল নামে নয়, সময় নির্ধারিণ করে দিতে হবে, পুরোপুরি শরিয়াহ আইন কার্যকর করতে।

প্রচলতি ও ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য-সুদ। প্রচলতি ব্যাংকগুলো সুদ দেয় কিংবা নেয়, তবে ইসলামী ব্যাংকগুলো মুনাফা কিংবা লোকসান শেয়ার করার কথা। যদিও, বাংলাদেশে এমন বিনিয়োগ ইসলামী ব্যাংকগুলোর খুব সামান্য।

টিএ/

পড়ুন: ১০ সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
দেখুন: সমুদ্র উপকূলে লাইটহাউজে থাকতে কেমন লাগে?
বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন