ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বিগ ফাইনালে আগামীকাল রাত একটায় মাঠে নামবে স্পেন ও ইংল্যান্ড। আসরে দুর্দান্ত খেলে ফাইনালের মঞ্চে পা রেখেছে স্প্যানিশরা। তাদের বর্তমান ফর্ম ইংল্যান্ডের জন্য হুমকিই বটে। স্পেনকে হারাতে কোন রণকৌশলে এগোতে পারেন গ্যারেথ সাউথগেটের দল, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
এবারের ইউরোতে সবচেয়ে আলোচিত ফুটবলার স্পেনের ১৬ বছর বয়সী তারকা ইয়ামাল। ইংল্যান্ডকে জিততে হলে ইয়ামালকে নজরে রাখার পাশাপাশি রাখতে হবে কড়া মার্কিংয়ে। একটু জায়গা পেলে ১৬ বছরের এই কিশোর কি করতে পারে সেটা দেখা গেছে ফ্রান্সের বিপক্ষে।
স্পেনের গোলপোস্টের নিচে বিশ্বস্ত হাত উনাই সিমন। স্পেনের হয়ে তিনটি বড় টুর্নামেন্টও খেলেছেন এই গোলরক্ষক। তবে তার দুর্বলতা চোখে পড়ার মতো। ইংল্যান্ডের প্রথম কাজটা হবে একের পর এক আক্রমণ করে সিমনের দুর্বলতার সুযোগ নেওয়া।
লামিনে ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামসের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন রদ্রি। মিডফিল্ড থেকে পুরো খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেওয়ার আগেই ইংল্যান্ডের উচিত হবে রদ্রিকে আটকে রাখা। এই কাজটা করতে হবে হ্যারি কেইন ও জুড বেলিংহ্যাম জুটিকে।
পেনাল্টিতে স্পেনের রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। এদিকে টাইব্রেকারে ইংল্যান্ড সাউথগেটের অধীনে চারটি ম্যাচের তিনটিই জিতেছে। অন্যদিকে স্পেন টাইব্রেকারে ঠিক উল্টো। ম্যাচে যদি খেলার ফল পক্ষে না আসার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে ইংল্যান্ড হয়তো ম্যাচ টাইব্রেকারেই নিয়ে যাবে।
সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে বিদায় করে দেওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রেখেছে বেঞ্চ। ৯০ মিনিটের সময় অলি ওয়াটকিন্সের সেই গোল ইংল্যান্ডকে তুলে দিয়েছে ফাইনালে। অথচ ওয়াটকিন্স পুরো আসর কাটিয়েছেন বেঞ্চে বসে। ফাইনালে এই ভুল করা চলবে না সাউথগেটের।
ফাইনালে বেঞ্চের খেলোয়াড়দের সঠিক ব্যবহার বদলে দিতে পারে ম্যাচের গতিপথ। সেমিফাইনালে ওয়াটকিন্স ছাড়াও গ্রুপ পর্বে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে বেঞ্চ থেকে উঠে এসে জাদু দেখিয়েছেন ইভান টোনি। ফাইনালের মতো মঞ্চে তাই সাউথগেটকে অবশ্যই তার হাতে থাকা বিকল্প খেলোয়াড়দের সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে।