নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবারের বোরো আবাদে। বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন অনিশ্চয়তায়, লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে পারে সেচ মেশিন। ফলে ফসলের জমিতে পানির অভাব দেখা দিতে পারে। যাতে বিঘ্নিত হবে কৃষকের ধানের আবাদ, অর্জন হবে না সরকারের লক্ষ্যও।
নওগাঁর কৃষকরা বোরো ধানের চারা রোপন শুরু হয়েছে। কৃষক জমি প্রস্তুত করে, এবার আবাদে বাড়তি মনোযোগ দিয়েছেন, তারা সরকারের লক্ষ্য অর্জন করতে চান এবারের আবাদে। নওগাঁর মতো, সারা দেশেই কৃষক এখন ব্যস্ত বোরো আবাদ নিয়ে।
তবে, চলতি বছরের আবাদ দিয়ে তাদের একটি চিন্তাও আছে। কারণ, বিগত কয়েক বছর, লোডশেডিংয়ে ঠিকমতো চলেনি অনেক বিদ্যুৎচালিত সেচ মেশিন। জমি শুকিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কৃষকরা এবার সরকারের বাড়তি মনোযোগ চান বোরো আবাদে।
কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এবার বোরোতে সোয়া দুই কোটি মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের পরিকল্পনা তাদের। জমি চাষ হবে প্রায় ৫০ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তারা আবাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এজন্য বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে উৎপাদনে রাখতে চলছে তোড়জোর।
বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র মালিকরা বলছেন, তারাও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন, চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে। তবে, তাদের কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা কেবল অর্থ সংকট। অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থে বোরো আবাদে বিদ্যুৎ জোগানে আগ্রহী বেসরকারি খাত।
বোরো হচ্ছে দেশের একক বৃহত্তম ফসল। মাছে ভাতে বাঙালির খাদ্যের জোগানের বড় অংশ নিশ্চিত হয় এ আবাদ থেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পিডিবিকে, আটঘাট বেধে কৃষকের সেচ নিবরচ্ছিন্ন করতে হবে। এখানে, অর্থ কড়ি নিয়ে প্রশ্ন নয়, রশি টানটানি নয়।
সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো যায় না। সেচ, রমজান ও গ্রীষ্মের বাড়তি চাহিদা পূরণ করে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। তবে, এবার পিডিবি অর্থ ছাড় করতে দেরি করায় আনা যাচ্ছে না তেল, যা দিয়ে উৎপাদন হবে বিদ্যুৎ।
এনএ/