22 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ত্রুটি থাকলে তাঁদের কোনো কাজ অবৈধ হবে না

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার দিন পর্যন্ত। আর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বা কোনো উপদেষ্টার নিয়োগে কোনো ত্রুটি থাকলে শুধু এ কারণে তাঁদের কোনো কাজ অবৈধ হবে না। এ সম্পর্কে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্নও তোলা যাবে না। এমনকি মামলা করা যাবে না।

এমন বিধান রেখে চূড়ান্ত করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশের খসড়া। গত ১৯ সেপ্টেম্বর খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হলেও এখনো অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়নি। এখন অধ্যাদেশটি জারির অপেক্ষায় আছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। পরদিন রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। তারপর আপিল বিভাগের মতামত নিয়ে ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেদিন প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয় | ছবি : রয়টার্স

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা কতজন হবেন, তা অধ্যাদেশের খসড়ায় সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। বলা হয়েছে, একজন প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা যতজন নির্ধারণ করবেন, ততজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি স্বনামধন্য এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী অন্য উপদেষ্টারা নিযুক্ত হবেন বলে অধ্যাদেশের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টা পদে থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না বলে সম্মত না হন।

বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও ২০ জন উপদেষ্টা রয়েছেন।

অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, সংবিধান এবং আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যা কিছুই থাকুক না কেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়া এবং নতুন সংসদ গঠিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী যে তারিখে কার্যভার গ্রহণ করবেন, সেই তারিখের (উভয় দিনসহ) মধ্যবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়োগ করা সব ক্ষমতা, অধ্যাদেশ, বিধিমালা, প্রবিধানমালা, জারি করা প্রজ্ঞাপন, আদেশ, কর্মকাণ্ড ও গৃহীত ব্যবস্থা আইনানুযায়ী যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে বলে গণ্য হবে। সুপ্রিম কোর্ট বা অন্য কোনো আদালত বা কর্তৃপক্ষ এর বৈধতা সম্পর্কে কোনোভাবেই প্রশ্ন উত্থাপন বা একে অবৈধ বা বাতিল করতে পারবে না।

আরও: শেখ হাসিনার ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপের নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী গ্রেফতার; বিপুল পরিমাণ আলামত উদ্ধার

আরও: ড. ইউনুসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের

আরও: তিনমাস পর রাজপথে প্রতিবাদী সমাবেশের ঘোষণা আওয়ামী লীগের

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন