১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে সেনা প্রধানের বক্তব্যের পর ফের আলোচনায় সরকারের মেয়াদ। রাজনৈতিক দলগুলোর চাপও বাড়ছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সরকারের মেয়াদ সরকারই জানাবে। তাই আবারও সরকারের মেয়াদ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা।
সপ্তাহ খানেক আগে রয়র্টাস সেনা প্রধান উয়াকার-উজ-জামানের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। তিনি আগামী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের জন্য সরকারকে সহায়তার অঙ্গীকার করেন। সবাই ধারণা করছিলো এটাই হয়তো সরকারের মেয়াদ।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের জন্য সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান এক থেকে দেড় বছর অর্থাৎ আঠার মাসের যে সময়সীমার কথা উল্লেখ করেছিলেন সেটিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ‘ব্যক্তিগত মত’ উল্লেখ করার পর এ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক মাধ্যমে।
সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনুস সেনাপ্রধানের বক্তব্যের বিষয়ে বলেছেন এটা সরকারের মতামত না। নিরবাচনের তারিখ সরকারই জানাবে। প্রধান উপদেষ্টার জানান সব সংস্কার না করে আগের অবস্থানও ফিরতে চাননা তারা। সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাও হবে।
এদিকে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও বলছে তারা সংস্কারের পক্ষে। তবে সেই সংস্কার হবে নির্বাচনের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু।বাম ধারার দলগুলোর পক্ষ থেকেও সংস্কারের কথা বলা হলেও দ্রুত নির্বাচনের তাগিদও দিচ্ছেন তারা।
প্রধান উপদ্ষ্টো বারবার বলেছেন তাদের সরকারের মুল লক্ষ্য সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজন এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। দেশের মানুষও তাই চায়।