অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ ১ মাসও হয়নি। প্রতিনিয়ত সামনে আসছে নানামুখী চ্যালেঞ্জ। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার পাশাপাশি মোকাবেলা করতে হচ্ছে বৈদেশিক চাপ। ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাটা দৃশ্যমান। এদিকে, নিকট প্রতিবেশী ভারতবিরোধিতার স্লোগান প্রকাশ্যে। সরব রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন আর রাশিয়াও। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন অর্থনীতির কূটনীতি সচল করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
দেশ সংস্কারে মনোযোগী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মেয়াদ ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এখনো অজানা। এমন অবস্থায়, সরকারকে প্রতিনিয়তই পড়তে হচ্ছে অভ্যন্তরীণ নানান সংকটে।
কূটনীতির মাঠেও হাজির হচ্ছে নানা চ্যালেঞ্জ। টানা তিন মেয়াদে ভারতের সমর্থনে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা। আবার সাম্প্রতিক বন্যার দায় ভারতের, এই আওয়াজও প্রবল। ভারতের সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যও আছে আলোচনায়। ফলে, নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে যে দূরত্ব বাড়ছে, তা দৃশ্যমান।
ভারতের রাষ্ট্রদূতের পরই, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন, অবকাঠামো উন্নয়নের বড় অংশীদার চীনের প্রতিনিধি। প্রতিনিয়তই পূর্ব-পশ্চিম বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা সাক্ষাৎ করছেন। দিচ্ছেন পাশে থাকার আশ্বাস।
কিন্তু, যে প্রশ্ন সামনে এসেছে, তা হলো, এতোদিন বৈরিতা নয়, বন্ধুত্ব বলে যে নীতি ছিলো, বৈদেশিক সম্পর্কে এখন তা কীভাবে কাজ করবে?
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস এন্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সভাপতি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে অর্থনীতির ফ্রেমওয়ার্ক নতুন করে সাজাতে হবে। আর ভারতের সঙ্গে এখন তা সমানে সমান।
যারা কূটনীতির এই জটিল পথ সহজ করতে সহযোগিতা করবেন ইউনূস সরকারকে, তাদের নিয়েও প্রশ্ন আছে এই দুই বিশ্লেষকের।
এই বিশ্লেষকরা মনে করেন, ড. ইউনূসের ব্যক্তিত্বের কারণে, স্বাভাবিক সম্পর্ক বৃদ্ধি হয়তো সহজ হবে। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ যেখানে অর্থনীতি ও বাণিজ্যের কঠিন হিস্যা আছে, সেখানে অন্যদের মতো বাংলাদেশ কীভাবে আচরণ করে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।