অর্থনীতিতে নতুন সংকট ব্যবসায়ীদের অস্বস্তি। ফলে বিনিয়োগে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও, অন্তবর্তী সরকার দায়িত্বের ৪ মাস নানা উদ্যোগ নিয়েছে আস্থার সংকট কাটাতে। ব্যবসায়িরা বলছেন, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি, কাটেনি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা।
টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসন আমল, ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর চার মাস পাড় করলো অন্তবর্তী সরকার। সরকার অবশ্য, একটি বার্তা সব স্তরে পৌঁছানোর জোড়ালো চেষ্টা করছে-তা হলো সুশাসন, দুর্নীতিতে শূন্য সহনশীলতা।
তবে, চার মাসের এই শাসর আমলে, বার বার চাপে পড়তে হয় ইউনূস সরকারকে। আজ শ্রমিক আন্দোলন, তো কাল আরেক পেশাজীবিরা দাবি নিয়ে রাস্তায়। সরকারও শক্ত হাতে দমনে যায়নি। ফলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ঠিক হয়নি, যা অর্থনীতির জন্য অনিশ্চয়তার।
গত চার মাসে অর্থনীতির জন্য মোটা দাগে বড় কিছু উদ্যোগ, যা সব স্তরের মানুষের বাহ্বা কুড়িয়েছে। বিগত সরকারের আমলে দূর্বল করে রেখে যাওয়া ব্যাংক খাত মেরামত চলছে। তবে, ব্যবসা, বাণিজ্য, কর্মসংস্থান খাতে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয় চার মাস, ব্যবসায়ীরাও অনেকে অস্বস্তিতে।
অন্তবর্তী সরকারের সফলতার একটি, অর্থনীতি বিষয়ক শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন। যাতে গত সরকারের সময় অর্থপাচার, ব্যাংকিং খাতে লোপাট, শেয়ার বাজারের অর্থ আত্মসাতের ভয়ংকর চিত্র জানা গেছে। তবে, জীবন যাত্রার ব্যয়ে লাগাম টানতে ব্যর্থ তারা।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় বিনিয়োগ কম হয়। দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর তৈরি হয় এই সংকট। তবে, এবার অনেক শিল্প উদ্যোক্তো, আতংক থেকে দেশ থেকে পালিয়েছেন। ব্যবসায়িরা বলছেন, হাতে নিতে হবে, ব্যবসা বাণিজ্য খাতে সংস্কার উদ্যোগ।
এনএ/