16 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

আজ বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের জন্মদিন

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খানের ৫৯তম জন্মদিন আজ। এই বয়সে এসেও যেন আগের মতো তরুণই আছেন তিনি। এখনও একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের মনে জয় করে যাচ্ছেন তিনি।

১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর নতুন দিল্লির এক মুসলিম পরিবারে শাহরুখ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মীর তাজ মোহাম্মদ খান এবং মায়ের নাম লতিফ ফাতিমা। অভিনেতার বাবা ভারতের নতুন দিল্লির পাঠান বংশোদ্ভূত।

ব্যক্তিগত জীবনে ছয় বছর প্রেম করার পর ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর হিন্দু রীতিতে গৌরী চিব্বারকে বিয়ে করেন শাহরুখ। গৌরী পাঞ্জাবি হিন্দু ধর্মাবলম্বী। বিয়ের পর তিনি নাম পরিবর্তন করে হন গৌরী খান। তাদের সংসারে তিন সন্তান। বড়পুত্র আরিয়ান খান, একমাত্র কন্যা সুহানা খান এবং ছোটপুত্র আব্রাম খান।

দিল্লির থিয়েটার একশন গ্রুপের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন শাহরুখের। ‘দিল আশনা হেয়’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক তিনি অভিষেক করলেও শাহরুখের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হলো ‘দিওয়ানা’। সিনেমাটি মুক্তির পর ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি ‘ফিল্মফেয়ার’ পুরস্কারও পান তিনি।

এরপর ১৯৯৩ সালে ‘বাজিগর’ ও ‘ডন’ সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের বিপুল ভালোবাসা পান তিনি। পরে আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

একে একে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘দিল ওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েনগে’, ‘কয়লা’, ‘পরদেশ’, ‘ইয়েস বস’, ‘দিল তো পাগল হেয়’, ‘দিল সে’, ‘কুছকুছ হোতা হেয়’, ‘বাদশাহ’, ‘মোহাব্বাতেন’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘দেবদাস’, ‘শক্তি’র মতো চলচ্চিত্র।

‘স্বদেশ‘, ‘ভিরজারা‘, ‘চাক দে ইন্ডিয়া’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘রাওয়ান’, ‘জাব তাক হেয় জান’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘ফ্যান’, ‘রইস’, ‘জিরো’র মতো জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ১৪ বার পেয়েছেন ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, তার বাসভবন মান্নাতে বড় এক জমকালো পার্টির আয়োজন করেছেন শাহরুখ খান। জন্মদিন ও দিওয়ালি এই দুই উৎসব উপলক্ষে ঝলমলে আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে অভিনেতার বাসভবন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলিউড সতীর্থদের। সে তালিকায় রয়েছেন করণ জোহর, কাজল, অজয় দেবগন, দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং, আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুরসহ অনেকে। পাশাপাশি দেশের বাইরের বেশ কয়েকজন শিল্পী ও ব্যবসায়ীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এনএ/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন