আন্দোলনের ঘটনায় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর, সারাদেশে একের পর এক মামলা হয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। এসব মামলা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অধিকাংশ মামলার এজাহার একই। অনেক মামলায় আসামী করা হয়েছে নিরিহ-নিরপরাধ মানুষকে।
গাজীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সবশেষ মামলা হয় গত ২৬ অক্টোবর। এতে আসামী করা হয় সাবেক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকসহ ১১৮ জনকে। অজ্ঞাতনামা আরও ৩শ জন।
মামলাটি নিয়ে অনুসন্ধান করেছে নাগরিক টেলিভিশন। এতে আসামী করা হয়েছে ইফতেখারুল হক মুহসিন নামে এক ব্যবসায়ীকে। যার দাদা ছিলেন কাশিমপুর থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
দাদা বিএনপি নেতা হওয়ায় মুহসিন নিজেও বিএনপিমনা ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছিল তার সক্রিয় অংশগ্রহণ। আন্দোলনে তার উপস্থিতির ভিডিও চিত্রও হাতে পেয়েছে নাগরিক টিভি।
এখানেই শেষ নয়, আসামী করা হয়েছে বিএনপির কর্মী, সহযোগী সংগঠনের নেতা ও জামায়াত সমর্থকদেরও। আছেন খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ গাজীপুর মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম মাহিও।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী রাজুর মা পারুল আক্তার ও তার বাবা রুবেল মিয়া। তারা জানান, মামলা কতজনের নামে হয়েছে, কারা আসামী তার কিছুই জানেন না।
তবে নিরাপরাধদের কোনরুপ হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ আছে, এসবের পেছনে কাজ করছে গাজীপুর মহানগর বিএনপির একটি অংশের নেতাকর্মীরাই।